বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani) বিদেশের মাটিতে তাঁর প্রভাব আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাঁটছেন। মূলত, গৌতম আদানি ভিয়েতনামে (Vietnam) ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করছেন।
বড় পদক্ষেপের পথে গৌতম আদানি (Gautam Adani):
ইতিমধ্যেই এই তথ্য ব্লুমবার্গ থেকে সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে, ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে সেখানকার কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক টো লামের সঙ্গে এক বৈঠকে আদানি (Gautam Adani) এই বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। রিপোর্ট অনুসারে, আদানি গ্রুপ ভিয়েতনামে পরিকাঠামো, রিনুয়েবল এনার্জি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো সেক্টরে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে চায়।
ব্লুমবার্গের এক রিপোর্ট অনুসারে, আদানি গ্রুপ ইতিমধ্যেই ভিয়েতনামে উপস্থিত রয়েছে। আদানি গ্রুপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন ভিয়েতনামের দা নাং শহরের লিয়েন চিউ বন্দরের উন্নয়নের জন্য ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করছে। মূলত, ভিয়েতনাম সরকারের সম্মতির পরেই এই বিনিয়োগ সম্ভব হয়েছে। এদিকে, এবারে যদি ভিয়েতনামে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করা হয়, সেক্ষেত্রে এটিই ভিয়েতনামে যেকোনও বিদেশি কোম্পানির সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: “ভিত্তিহীন দাবি উপেক্ষা করুন”, রাহুল গান্ধীর তোলা ভোট চুরির অভিযোগকে পাত্তাই দিল না নির্বাচন কমিশন
গ্রিন এনার্জি এবং বন্দর উন্নয়নের ওপর জোর: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সম্প্রতি গৌতম আদানি (Gautam Adani) চিনেও সফর করেছিলেন। যেখানে তিনি সরঞ্জাম সরবরাহকারীদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আদানি গ্রুপ এখন এশিয়ায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চায়।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যান! ভেবেছেন আত্মহত্যার কথাও, ডিভোর্সের পর এবার মুখ খুললেন চাহাল
এমন পরিস্থিতিতে, আদানি গ্রুপের সম্পূর্ণ মনোযোগ এখন পূর্ব এশিয়ার দিকে রয়েছে। এদিকে, ভিয়েতনাম একটি অন্যতম প্রধান উৎপাদন ও সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে, আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৌশলের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়াও, গ্রিন এনার্জি এবং বন্দরের উন্নয়নে আদানি গ্রুপের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।