বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani) ২০২২-এর IIFL ওয়েলথ হুরুন ইন্ডিয়ার (IIFL Wealth Hurun India) -র ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এই প্রসঙ্গে হুরুন ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গত এক বছরে গৌতম আদানির সম্পদের পরিমান রীতিমতো হু হু করে বেড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুসারে, আদানির সম্পদ গত এক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ১১৬ শতাংশ। পাশাপাশি, সবমিলিয়ে ৫,৮৮,৫০০ কোটি টাকা যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ দৈনিক ভিত্তিতে, আদানি প্রতিদিন ১,৬১২ কোটি টাকা আয় করেছেন। এছাড়াও, ওই রিপোর্টে গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমান ১০,৯৪,৪০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
রিপোর্টে আর কি বলা হয়েছে: এই প্রসঙ্গে হুরুন ইন্ডিয়ার এমডি আনাস রেহমান জুনায়েদ জানিয়েছেন যে, বিগত পাঁচ বছরে আদানি গ্রুপ অধিগ্রহণ এবং অর্গানিক গ্রোথের দিকে মনোনিবেশ করেছে। আর এই কারণেই, তাঁর সম্পদ আশ্চর্যজনকভাবে ১,৪৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে আদানি গ্রুপের মোট ৭ টি কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত রয়েছে
মূলত, গত কয়েক বছর ধরে এইসব কোম্পানির গ্রোথ ক্রমাগত বাড়ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০২২ সালটি আদানির বিপুল সম্পদ বৃদ্ধির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনিই একমাত্র ভারতীয় যিনি এক লক্ষ কোটি টাকার মার্কেট ক্যাপ সহ সাতটি কোম্পানি তৈরি করেছেন।
আম্বানি তাঁর র্যাঙ্কিং হারিয়েছেন: এদিকে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি বা অন্যান্য বিলিয়নেয়ারদের তুলনায় আদানির সম্পদের পরিমানের পার্থক্য হল ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১২ সালে, আদানির সম্পদ আম্বানির মোট সম্পদের মাত্র ছয় ভাগের এক ভাগ ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে মুকেশ আম্বানির সম্পদ বেড়েছে ১১ শতাংশ। তবে বিগত ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত এই তালিকা থেকে তিনি তাঁর শীর্ষস্থান হারিয়েছেন। ওই রিপোর্টে মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমান ধরা হয়েছে ৭.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা। এদিকে, গত ৫ বছরের মধ্যে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদ বেড়েছে ১১৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার সাইরাস এস পুনাওয়ালা ও তাঁর পরিবারের সম্পদ ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এমতাবস্থায়, এই ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর বর্তমান স্থান তৃতীয়। মনে করা হচ্ছে যে, বর্তমানে পুনাওয়ালার মোট সম্পদের পরিমান হল ২,০৫,৪০০ কোটি টাকা।