বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের শ্ৰেষ্ঠ ধনকুবেরদের তালিকায় আবারও নিজের “ক্ষমতা” দেখাতে শুরু করেছেন ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adam)। গত মঙ্গলবার আদানি গ্রুপের (Adani Group) কোম্পানিগুলির শেয়ার বৃদ্ধির কারণে গৌতম আদানির সম্পদ রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সম্পদের এহেন বৃদ্ধির জেরে তিনি মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আদানি বিশ্বের শ্ৰেষ্ঠ ১৫ ধনকুবেরের তালিকাতেও প্রবেশ করেছেন। এমতাবস্থায়, আম্বানি ও আদানির মোট সম্পদের ব্যবধান ৯ বিলিয়ন ডলারেরও কম হয়েছে।
লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি আদানির: ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। পরিসংখ্যানঅনুযায়ী, গৌতম আদানির মোট সম্পদ বেড়েছে ১২.৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এরপর তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮২.৫ বিলিয়ন ডলারে। শুধুমাত্র ২ দিনে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা।
তবে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে তার সম্পদের পরিমাণ এখনও ৩৮ বিলিয়ন ডলার কম রয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২-এর শেষ দিনে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলার। এমতাবস্থায়, বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী, বর্তমানে আদানি কোম্পানির শেয়ারে যে ধরণের গতি এসেছে সেক্ষেত্রে আগামী দিনে আদানির সম্পদের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য NRI-দের পছন্দ ভারতের এই শহর! সামনে এল চমকপ্রদ পরিসংখ্যান
কত এগিয়ে মুকেশ আম্বানি: এদিকে, আদানির সম্পদ বৃদ্ধির কারণে তিনি বর্তমানে টক্কর দিচ্ছেন আরেক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকে। বর্তমানে, মুকেশ আম্বানি বিশ্বের ১৩ তম ধনী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ হল ৯১.৪ বিলিয়ন ডলার। গত মঙ্গলবার, তাঁর সম্পদ বেড়েছে ১.০১ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি, চলতি বছরে তাঁর সম্পদ বৃদ্ধি ঘটেছে ৪.৩৩ বিলিয়ন ডলার। এমন পরিস্থিতিতে, আদানি ও আম্বানির সম্পদে মাত্র ৮.৯ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। তার মানে আদানির সম্পদ এভাবে বাড়তে থাকলে মুকেশ আম্বানিকে তিনি এই তালিকায় পেছনে ফেলতে পারেন।
আরও পড়ুন: মিস করবেন না এই সুযোগ! সপ্তম শ্রেণি পাশেই মিলবে সরকারি চাকরি, এভাবে করুন আবেদন
সম্পদ ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট যখন আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল তখন ওই গ্রুপের শেয়ারগুলিতে বড় পতন ঘটে। যার ফলে আদানির মোট সম্পদও লাফিয়ে হ্রাস পেয়ে যায়। এরপর আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমে গিয়েছিল। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর মোট সম্পদ ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়। চলতি বছরে এটাই ছিল তাঁর সর্বনিম্ন সম্পদের পরিমাণ। তারপর থেকে, আদানির মোট সম্পদ ৪৪.৮ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।