বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অযোধ্যা আর ভগবান রামকে নিয়ে এর আগেই বড়বড় দাবি করেছেন নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K.P Sharma Oli)। এবার গৌতম বুদ্ধকেও (Gautam Buddha) নিজেদের বলে দাবি করছে নেপাল (Nepal)। নেপালের বিদেশ মন্ত্রালয় রবিবার নিজেদের বয়ানে জানায়, গৌতম বুদ্ধ নেপালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র বলেন, এটি একটি অনিন্দ্য সত্য যে গৌতম বুদ্ধ নেপালের লুম্বিনিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। উনি এও বলেন যে, ঐতিহাসিক আর পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণও আছে তাঁদের কাছে। উনি জানান, গৌতম বুদ্ধে জন্মস্থান লুম্বিনি ইউনেস্কো-এর ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে একটি। এর সাথে সাথে মুখপাত্র বলেন, এটাও সত্য যে বৌদ্ধ ধর্ম নেপাল থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
It is a well-established and undeniable fact proven by historical & archaeological evidence that Gautam Buddha was born in Lumbini, Nepal. Lumbini, the birthplace of Buddha and the fountain of Buddhism, is one of the UNESCO world heritage sites: Ministry of Foreign Affairs, Nepal pic.twitter.com/hooD5856hO
— ANI (@ANI) August 9, 2020
আরেকদিকে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আরও একবার ‘আসল অযোধ্যা” (Ayodhya) নিয়ে মাতলেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী আরও একবার বলেন যে, ভগবান রামের (Lord Rama) জন্মস্থান নেপালের চিতবন (Chitban) জেলায়। ওই জেলায় মাডি পুরসভা এলাকা আছে, সেখানকার নাম অযোধ্যাপুরী (Ayodhya Puri)। শনিবার ওলি ওই এলাকার আধিকারিকদের সাথে ফোনে কথাও বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ওলি সেই এলাকার আধিকারিকদের সাথে কথা বলে সেখানে সীতা মাতা, রাম আর লক্ষণের মূর্তি লাগানোর আদেশ দেন। ওলি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই অযোধ্যাপুরীই আসল অযোধ্যা। আর এই এলাকাকে আসল অযোধ্যা রুপে প্রোমোট করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ওলি সেখানকার আধিকারিক এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের এলাকায় ভব্য রাম মন্দির বানানোর আদেশ দেন।
নেপালের সংবাদমাধ্যম হিমালয়ান টাইমস অনুযায়ী, ওলি মাডি এলাকার আধিকারিক আর নেতাদের সাথে দুই ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন। এবং আরও বিস্তারিত কথা বলার জন্য তাঁদের কাঠমান্ডুতে ডাকা হয়। ওলি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস যে, ভগবান রামের জন্ম নেপালের অযোধ্যাপুরীতেই হয়েছে, ভারতের অযোধ্যায় না। আমার কাছে এমন প্রমাণ আছে যেটা বলে দেবে যে, ভগবান রামের জন্ম নেপালেই হয়েছে।”
চিতবন জেলার সাংসদ দিল কুমারী রাওয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ওলি বলেছেন অযোধ্যাপুরীর আশেপাশের এলাকাকে সংরক্ষণের জন্য সমস্ত শক্তি লাগিয়ে দিতে। প্রমাণ যোগাড় করার জন্য অযোধ্যাপুরীতে খননের কাজও চালাতে বলেছেন তিনি। এর সাথে সাথে অযোধ্যাপুরীকে প্রোমোট করার জন্য আর সেখানকার ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিতে বলেছেন তিনি।”
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে