বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কালকের আইপিএলে ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে মাত্র দুই রানে হারিয়ে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপারজায়ান্টসরা প্লে অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। ম্যাচের পর দলের মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে প্রচন্ড উত্তেজিত দেখিয়েছে। নিজের হাতে গড়া দলের দুর্দান্ত জয় দেখে নিজের আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি এলএসজি মেন্টর। তার উত্তেজিত প্রতিক্রিয়ার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত ভাইরাল।
মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কেকেআর বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন ডি কক। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার এমন হলো যখন প্রথম ইনিংসে ওপেনিং জুটি গোটা ২০ ওভার জুড়ে ব্যাটিং করে যায়। ডি কক তার ৭০ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলার সময় মারেন ১০টি ছক্কা এবং ১০টি চার মেরেছিলেন। রাহুল ধৈর্যশীল ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলার সময় ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার মেরেছেন। যার জন্য ২০ ওভারে ২১০ রানের স্কোর প্রথম ইনিংসে খাঁড়া করে লখনউ। কোনও কেকেআর বোলারই কোনোরকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ দুই ওপেনার ভেক্টটেশ আইয়ার ও অভিষেককারী অভিজিৎ তোমার। দুজনকেই আউট করেন তরুণ মহসিন খান। ৩ এবং ৪ নম্বরে নেমে নীতিশ রানা ও শ্রেয়স আইয়ার পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। ২২ বলে ৪২ করে রানা কৃষাপ্পা গৌতমের শিকার হন। নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করা মাত্র স্টোইনিসের শিকার হন শ্রেয়স। স্যাম বিলিংসকে ৩৬ রানে ফেরান রবি বিশ্নই। রাসেল আজ ব্যর্থ। ১১ বলে ৫ রান করে মহসিন খানের শিকার হন রাসেল। এরপর প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়া টার্গেট চেজ করে ফেলেছিলেন রিঙ্কু সিং এবং সুনীল নারায়ণ। একসময় হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচের শেষ দুই বলে ৩ রান করতে হতো কেকেআরকে। এইসময় ১৪ বলে ৪০ করা রিঙ্কু সিংকে দুরন্ত ক্যাচে ফেরান ইভিন লুইস। শেষ বলে দুর্দান্ত ইয়র্কারে উমেশ যাদবের স্ট্যাম্প ছিটকে গেল স্টোইনিস। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হারতে নয় নাইটদের। ৭ বলে ২১ করে অপরাজিত থাকেন নারায়ণ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে লখনউয়ের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন মহসিন।
Gambhir is always ghambhir😂😂. His reactions in last over. https://t.co/ND6a8znHyL
— Ćapťaįn_Łęvï (@Ready_To_Rise) May 18, 2022
প্রসঙ্গত, নিলামের শুরু থেকে আইপিএলের প্লে অফ পর্যন্ত লখনউকে এই জায়গায় নিয়ে আসার পেছনে গম্ভীরের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি কার্যত হাতে ধরে দলটি তৈরি করেছেন এবং তার পরামর্শ মতোই মাঠে পারফর্ম করেছেন রাহুলরা। তাকে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছিলেন যার ফলও তিনি পেয়েছেন।