বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এইমুহূর্তে নিজেদের ২০ তম বিশ্বকাপ খেলতে মাঠে নেমেছে জার্মান দল। আজকে মাঠে নামার পর ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে ২০ বার অংশগ্রহণ করার রেকর্ড করল জার্মানি। আজ তাদের মুখোমুখি হয়েছে এশিয়ার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ জাপান। কিন্তু সেই ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই অন্য একটি কারণে নজর কাটল জার্মান দল।
কাতারে মানবাধিকার হরণকারী যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে চলতি বিশ্বকাপের আগে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্যোগটি হলো সমকামী মানুষদের সমর্থনে পাঁচটি দেশকে “ওয়ান লাভ” কথাটি লেখা আর্মব্যান্ড হাতে লাগানো থেকে চাপ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া। কাতার বিশ্বকাপে অভিনব প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে ওই আর্মব্যান্ড পরিধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়ামের মতো দেশগুলি।
ফিফা সোমবারই ঘোষণা করেছিল যে কোনও দেশের ফুটবলাররা বিশেষ আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামলে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। ওই আর্মব্যান্ড পরিহিত সকল ফুটবলারকে একটি করে হলুদ কার্ড ম্যাচ শুরুর সময়ই দেখিয়ে দেওয়া হবে এমন হুমকি জারি করেছিল ফিফা। ফুটবল বিশ্বকাপে দেশের স্বপ্ন যাতে ভেঙে না যায় তাই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে দেশগুলি।
আজ মাঠে নেমে জার্মানি দল বুঝিয়ে দিল যে জার্মান না প্রতিবাদ করতে জানে। জোর করে তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে সেটা বোঝানোর জন্য জার্মান ফুটবলাররা গ্রূপফটো তোলার সময় প্রত্যেকের নিজেদের মুখ হাত দিয়ে ঢেকে দাঁড়ান।
It wasn’t about making a political statement – human rights are non-negotiable. That should be taken for granted, but it still isn’t the case. That’s why this message is so important to us.
Denying us the armband is the same as denying us a voice. We stand by our position. pic.twitter.com/tiQKuE4XV7
— Germany (@DFB_Team_EN) November 23, 2022
নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের এই বিশেষ ভঙ্গিতে গ্রুপফটো তোলার আসল উদ্দেশ্য ও ব্যাখ্যা করে দিয়েছে জার্মান ফুটবল দল। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এটি একটি রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে ছিল না – মানবাধিকার অ-আলোচনাযোগ্য। এটি মঞ্জুর করা উচিত, তবে এটি এখনও হয় না। এই কারণেই এই বার্তাটি আমাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আর্মব্যান্ড অস্বীকার করা আমাদের কণ্ঠস্বর অস্বীকার করার সমান। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল।”