বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথম জমানা থেকেই ভারতকে ডিজিটাল তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন। তাই তো ইতিমধ্যে রেশন কার্ড ডিজিটাইজড করা হয়েছে, তবে শুধুমাত্র রেশন কার্ড নয় আধার এবং প্যান কার্ডের ক্ষেত্রেও ডিজিটাইজেশন করার প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে তবে এবার ভোটার কার্ড কেউ স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তো এখন মাত্র পনেরো দিনের মধ্যেই হাতে স্মার্ট ভোটার কার্ড পাবেন গ্রাহকরা।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে আর সাদা কালো নয় এবার আধার কার্ডের মতো রঙিন এবং অন্য ভাবে আসবে ভোটার কার্ড। আসলে এর আগে অবধি দেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটার কার্ড তৈরি করতে গিয়ে বিভিন্ন ঝামেলার মুখে পড়তে হতো। নিজের ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার প্রায় ছয় সাত মাস পরে ভোটার কার্ড হাতে পান গ্রাহকরা কিন্তু এবার সেই নিয়মেও বদল আসছে একই সঙ্গে এখনও অবধি যে সমস্ত গ্রাহক ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা আগামী বছরের মধ্যে ভোটার কার্ড হাতে পাবেন।
তবে যেহেতু বর্তমানে স্মার্ট ভোটার কার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে তাই ভোটার কার্ডে নতুন কিছু ফিচার সংযোজন করা হচ্ছে। যেমন আধার কার্ডের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করা যাবে না ঠিক তেমনই ভোটার কার্ডের ক্ষেত্রেও। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই নতুনত্ব আনতে চলেছে ভোটার কার্ডে। তবে ভোটার কার্ডের রূপেরও খানিকটা পরিবর্তন হচ্ছে।
আগে যেমন লেমিনেশন করা ভোটার কার্ড দেওয়া হত এ বার নতুন ভোটার কার্ডে থাকবে মাল্টি লেয়ার, যদিও এখানেই শেষ নয় নির্বাচন কমিশনের হলোগ্রাম এম বাস করার সঙ্গে সঙ্গে বারকোড যোগ করা হবে। যাতে বার করের মাধ্যমে গ্রাহকের সমস্ত তথ্য হাতে আসার সহজতর হয়ে ওঠে।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যারা নতুন করে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা স্মার্ট ভোটার কার্ড পাবেন কিন্তু যাঁদের পুরনো ভোটার কার্ড রয়েছে তাঁরাও চাইলে স্মার্ট কার্ড নতুন করে তৈরি করে নিতে পারবেন। বর্তমানে যেহেতু অনলাইনেই সবকিছু হয় তাই নতুন স্মার্ট ভোটার কার্ড পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করলে তা মাত্র পুরের অধীনের মধ্যে হাতে পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।