অসমে ঘরওয়াপসি অভিযান! খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে সনাতনে ফিরলেন শতাধিক মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশ (Uttar Paradesh), মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) পর এবার অসম (Assam)। ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রীস্টান হওয়া প্রায় ১৪২ জন ঘর ওয়াপসি (Ghar Wapsi)অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করলেন। গতকাল সোমবার ওই ঘর ওয়াপসি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় অসমের জাগিরোডের শোং তিওয়া গ্রামে। গোবা দেওরাজা রাজ পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বলে জানা যাচ্ছে। সেখানেই হল সম্পন্ন হল ধর্মান্তরিত খ্রীস্টানদের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার প্রক্রিয়া।

এখানেই শেষ নয়, অসমের তিওয়া উপজাতির প্রায় ১১০০ পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসবে বলেও জানিয়েছে ওই সংগঠন। এই উপজাতি পরিবারগুলিকে এক সময় খ্রীস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয় বলে অভিযোগ। গত মাসে ছত্তীসগঢ়ের মহাসমুন্দে ৩০০ পরিবারের প্রায় ১১০০ জন হিন্দু ধর্মে ফিরে এসেছিলেন।

গোবা দেওরাজা রাজ পরিষদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওই ঘর ওয়াপসির ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে গোবা দেওরাজা রাজ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জুর সিং বরদোলই জানান, ‘তিওয়া উপজাতির প্রায় ১১০০ পরিবারকে এর আগে খ্রীস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। তাঁরা এখন হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা নিজের ইচ্ছাতেই ফিরে আসতে চাইছেন। এ ব্যাপারে পরিষদকে সহায়তাও করেছেন তাঁরা। ধর্মান্তরিত ওই পরিবারগুলি জানিয়েছে হিন্দু ধর্মেই আজীবন বিশ্বাস রাখবেন তাঁরা। এমনকি খ্রীস্টান পরিচয় দূরে সরিয়ে তিওয়া উপজাতির সংস্কৃতি পালন করবেন তাঁরা।’

বিগত কয়েক মাস ধরেই ভিন্ন ধর্মের মানুষ দলে দলে যোগ দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মে। বলা ভালো, ‘ঘর ওয়াপসি হচ্ছে তাদের। তাঁদের পূর্বপুরুষ, কোনও এক সময় হিন্দু ছিলেন। কিন্তু কখনও স্বেচ্ছায় কখনও বা পরিস্থিতির চাপে পড়ে তাঁরা গ্রহণ করেছিলেন অন্য ধর্ম। আবারও ফিরে আসছেন স্ব-ধর্মে। গত সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত বাগেশ্বর ধামের (Bageshwar Dham) পীঠাধীশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর (Dhirendra Krishna Shastri) হাত ধরে মোট ২২০ জন ফিরে আসেন হিন্দুধর্মে।

assam

সেদিন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধিশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেখানেই ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী আহ্বান করেন অহিন্দুদের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার জন্য। এই অনুষ্ঠানেই ওই ২২০ জনকে নিয়ে আসে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। জানা যাচ্ছে, এদিন মোট ৬২টি পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। জানা যাচ্ছে, ওই ৬২ পরিবার তাপ্রিয়ান, বারাপুর, চিতোরা, বামহাউরি গ্রামের বাসিন্দা।

ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বলেন, ‘সবাই ভুল করেন। আমি অনুরোধ করি সকলকে শনি অথবা মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে যেতে। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি জনপ্রিয়তাও চাই না। আমি কোনও ধর্মের বিরুদ্ধেও নই। আমি শুধু চাই রামচরিতমানসকে জাতীয় গ্রন্থ হিসাবে দেখতে এবং ভারতকে হুিন্দু রাষ্ট্র।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর