ইতিহাস পরীক্ষায় ভূগোলের প্রশ্ন! প্রশ্নপত্র বিভ্রাটে উত্তাল ঘাটাল

Published on:

Published on:

Ghatal Irpala High School in turmoil due to question interruption

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইতিহাসের পরীক্ষায় ভূগোলের প্রশ্ন! সপ্তম শ্রেণির ইউনিট টেস্টে এমনই অভূতপূর্ব গাফিলতির সাক্ষী থাকল ঘাটালের (Ghatal) ইড়পালা হাইস্কুল। নির্ধারিত ছিল ইতিহাস পরীক্ষা, অথচ প্রশ্নপত্র খুলে দেখা গেল তাতে ঠাঁই পেয়েছে ভূগোলের বিষয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।

ইতিহাসের বদলে ভূগোল, প্রশ্ন বিভ্রাটে উত্তাল ঘাটাল (Ghatal)

বিদ্যালয়ের রুটিন অনুযায়ী, বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ইতিহাস পরীক্ষা। কিন্তু প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ, ইলবার্ট বিল, এসবের বদলে প্রশ্নে দেখা গেল, ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন কী’, ‘শিশির ও কুয়াশা কী’, এ রকম ভূগোলের বিষয়। মুহূর্তেই পরীক্ষাকক্ষে শুরু হয়ে যায় কানাঘুষো। বিষয়টি শিক্ষকদের জানালে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বুঝতে পারেন তাদের ভুল। সঙ্গে সঙ্গে ভূগোল সম্পর্কিত প্রশ্নগুলি কেটে নতুন প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

অভিভাবক ও শিক্ষকমহলে ক্ষোভ

এই ঘটনায় অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এক অভিভাবক প্রশ্ন তোলেন, “ছাপার আগে প্রশ্নপত্র একাধিকবার যাচাই করা উচিত ছিল।” এই ঘটনার বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এই ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিনয় চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, “ভবিষ্যতে যাতে এমন ভুল না হয়, সে জন্য কড়া নজরদারি করা হবে।” একইসঙ্গে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য রঞ্জন সামন্ত।

রাজনীতির ময়দানেও বিতর্ক

শিক্ষাক্ষেত্রে এই গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। স্থানীয় সিপিএম নেতা প্রভাস মাজির বক্তব্য, “এই ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের কারণেই এখন এই অবস্থা। স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় এমন ভুল বারবার হচ্ছে।”

Ghatal Irpala High School in turmoil due to question interruption

আরও পড়ুনঃ ‘মেরুদণ্ডহীন সিবিআই’, দিল্লি থেকে ফিরে বিস্ফোরক তিলোত্তমার বাবা-মা, শাহ কে নিয়ে কি বললেন?

ঘাটালের (Ghatal) ইড়পালা হাইস্কুলের ইউনিট টেস্টের প্রশ্নপত্রে এমন ভুল নিছক অপ্রস্তুতি নয়, বরং গোটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন। অভিভাবকদের আশঙ্কা, এই ধরনের গাফিলতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।