বাংলা হান্ট ডেস্ক : জ্ঞানবাপী (Gyanvapi Masjid Case) নিয়ে বিরোধ চলছেই। এরই মধ্যে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে মসজিদ সংক্রান্ত আইনি বিরোধের সমাধানের জন্য প্রস্তাব করে হিন্দু পক্ষ। সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে আঞ্জুমান ইন্টারজামিয়া কমিটি। আর এর পরই জ্ঞানবাপী মামলায় হিন্দু পক্ষের আইনজীবী হরি শঙ্কর জৈন টুইট করে বলেন ‘আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, সনাতন ধার্মিকরা কাশীতে ভোলেনাথের জমি থেকে এক ইঞ্চিও ছেড়ে দেবে না। বিন্দুমাত্র আপস করবে না। একমাত্র জিনিস যা ঘটতে পারে তা হল মুসলমানদের ক্ষমা চাওয়া। তারা যে অবৈধ দখল করে রেখেছে সেখান থেকে সরে আসা উচিত।’
কী বললেন তিনি? হরি শঙ্কর জৈন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সনাতানি হিন্দুরা ভগবান ভোলেনাথের এক ইঞ্চি জমিতেও আপস করবে না। যারা নিজেদেরকে হিন্দু বলে আপসের কথা বলছে তারা মোটেও হিন্দু নয়।’ তিনি আরও পরিষ্কার করে বলেন যে মুসলিম পক্ষের লোকেরা ক্ষমা চাইলে সনাতন ধর্ম এত বড় যে তাদের ক্ষমা করবে। ভুল সবারই হয়। এই পরিস্থিতিতে তাদের বাপ-দাদারাও ভুল করেছেন। কিন্তু বাপ-দাদাদের ভুল বিবেচনা করে তারা এমনভাবে চলাফেরা করছেন যেন তারা নিজেরা কোনও ভুলই করেনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের উদাহরণ দিয়ে হরি শঙ্কর জৈন বলেন, অবশ্যই ঋষি সুনক মূলত ভারতের বাসিন্দা, কিন্তু সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তিনি কি খ্রিস্টানদের গালি দেন? তাই এমন পরিস্থিতিতে এখানকার মুসলমানদেরও বিষয়টি বোঝা উচিত।
আদৌও কি সমাধান হবে? তাৎপর্যপূর্ণভাবে, হিন্দু বৈদিক সনাতন সংঘ মুসলিম পক্ষকে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জ্ঞানবাপী বিবাদের সমাধান করার জন্য আবেদন করেছে। বিবেচনা করার কথা বলেছে আঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটিও। হয়ত একটা আলোচনা সভাও বসতে পারে। তবে তাতে কতটা লাভ হবে, কতটাই বা সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে একাধিক মহলের।
প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপীর অজুখানায় এক পাথরকে ‘শিবলিঙ্গ’ বলে দাবি করে মামলা হয়েছিল আদালতে। সেই সংক্রান্ত মামলার একাধিক আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্ট, বারাণসী আদালতে। এরই মাঝে বারাণসী আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, মসজিদে সমীক্ষা চালাতে পারবে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। যদিও এই সংক্রান্ত একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টেও চলছে। সমীক্ষার বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তবে তাঁদের দাবি খারিজ করে দেয় আদালত।