সাতদিন ঘরে নেই এককণা খাবার, যোগীরাজ্যে অনাহারে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল ৫ বছরের শিশুকন্যা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তাজমহলের শহর আগ্রা (agra), পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত শহর৷ সারা বিশ্বের মানুষ আগ্রায় আসেন এর অসাধারণ বিলাসবহুল স্থাপত্যগুলিকে দেখতে। কিন্তু এই উজ্জ্বল প্রদীপের নীচটিও যথারীতি ঘোর তমসাচ্ছন্ন। অনাহার (poverty) ও বিনাচিকিৎসায় তাজের শহরে মারা গেল ৫ বছরের শিশুকন্যা।

PicsArt 08 24 03.07.54

পরিবারের দাবি, গত সাত দিন বাড়িতে নেই এক কণা খাবারও। ক্ষুধায় তার জ্বর এলেও ডাক্তার দেখানোর আর্থিক সামর্থ্য ছিল না পরিবারের। ফলে খিদেয় এবং বিনা চিকিৎসাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি। যদিও প্রশাসন সূত্রে দাবি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

ঘটনাটি ঘটেছে, আগ্রা শহরের আহির ব্লকে। সেখানে শান্তি দেবী তাঁর পরিবারের সাথে থাকেন। শান্তি দেবীর স্বামী পাপ্পুর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকায় তিনি ভারী কাজ করতে পারেন না। শান্তি দেবী নিজে একজন শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। কিন্তু লকডাউনের কারনে কোনো কাজ পাননি শান্তি দেবী। ফলে কার্যত অনাহারেই দিন কাটাতে হচ্ছিল শান্তিদেবীদের।

এরই মধ্যে অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের কন্যা সোনিয়া। বাড়িতে টাকা না থাকায় ডাক্তার দেখাতে পারেন নি। খিদে ও বিনা চিকিৎসায় মারা যায় সোনিয়া। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রশাসন দ্রুত সোনিয়াদের বাড়ি পৌঁছে যায়। ৫০ কেজি আটা ও অন্যান্য রেশন তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ৬ হাজার টাকার বেশি ইলেকট্রিক বিল বকেয়া থাকায় ঐ বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করেছে সরবরাহকারী সংস্থা। এমনকি রেশন কার্ডও নেই তাদের। যার ফলে তারা রেশনও পাননি। সোনিয়া নামের এই শিশুর মৃত্যু ফের একবার দেশের সিস্টেমকে প্রশ্নের মুখে ফেলল সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই

 

সম্পর্কিত খবর