বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকবছর আগেও কিতকিত, খো খো, কুমিরডাঙ্গা, রুমালচোর, লাট্টু মধ্যে দিয়ে সে শৈশব দেখা যেত। মোবাইল, কম্পিউটারে ভিডিও গেমের জন্য সে সব আজ হারিয়ে গিয়েছে। শহরের তো ছাড়া, গ্রামাঞ্চলেও সেই খেলাগুলো আর খেলতে দেখা যায় না ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের।
ভাবতে পারেন আপনি ন্যাশনাল গেমসের মাঠে লাট্টু ঘুরছে? যাঁর লাট্টু নির্দিষ্ট জায়গায় বেশিক্ষণ ধরে ঘুরল, সেই হবে লাট্টু চ্যাম্পিয়ান, নামডাক হল তাঁর, খেলার সূত্রে চাকরিও পেয়ে গেলেন।এরকমটা হতে পারে? না! এমনটাই ভাবাই দুষ্কর ব্যাপার। এখনকার বাচ্চারা হয়তো লাট্টু হাতেই ধরেনি। তবে বড় হয়ে কি করে লাট্টু চ্যাম্পিয়ানের কথা ভাববে!
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে এক বিরল উদ্যোগ নিতে চলেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ভিডিও গেমস, কার্টুনের পরিবর্তে বাচ্চাদের জন্য ফিরে আসছে কিতকিত, খো খো, কানামাছি, কুমিরডাঙ্গা, লাফদড়ি খেলা।
গ্রামবাংলার মানুষের শৈশব একসময় যেসব খেলাতেই কেটেছে, সেই খেলাই ফিরিয়ে আনছে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ঠিক করা হয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা বাধ্যতামূলক করা হবে। একঘণ্টা তার জন্য দৈনিক বরাদ্দ করা হবে।
রাজ্যের মধ্যে প্রথম জেলা বীরভূম, যেখানে পঠনপাঠনের সঙ্গে বিদ্যালয়ে খেলাধূলাকে আবশ্যক করতে চলেছে, তা নাহলে অসল শৈশবের মজা যেন হারিয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে থেকে।
এই উদ্যোগকে সার্থক করতে সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক, বিশ্বভারতীয় অধ্যাপক সমীরণ মণ্ডল সহ বিশিষ্টরা।
এ রাজ্যের দেখাদেখি হয়তো রাজ্যের অন্যন্যা জেলাতেও এই শুভ উদ্যোগ নেওয়া র পরিকল্পনা নিতে পারেন শৈশবকালকে বাঁচিয়ে রাখতে।