বাংলাহান্ট ডেস্ক : খাস বাংলায় কুবেরের ধন! রাজ্যের একাধিক জেলায় সোনা (Gold) সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের সন্ধান মিলেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষায় বেশ কিছু জেলায় মিলেছে বিপুল খনিজের সন্ধান, যার হাত ধরে বড়সড় বদল আসতে পারে রাজ্যের খনি শিল্পে। সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রক রাজ্যের অন্তত নটি জায়গায় সোনা থাকার সম্ভাবনার কথা নিশ্চিত করেছে।
রাজ্যে সোনার (Gold) খনির হদিস
খনি মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে জোরকদমে অনুসন্ধান চালানো হয়েছে রাজ্য জুড়ে। তার জেরেই পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ এবং পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলিতে মূল্যবান ধাতু সহ রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস এর মতো বিরল সম্পদের হদিস পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই খনিজগুলি আধুনিক ইলেকট্রনিক্স, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি প্রযুক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কোথায় মিলেছে সোনার সন্ধান: সবথেকে বড় খবর হল, সোনার সন্ধান মিলেছে বাংলায়। বেশ কয়েকটি সোনা সমৃদ্ধ অঞ্চল চিহ্নিত হয়েছে এ রাজ্যে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে বেশিরভাগই বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থাৎ জি ৪ বা জি ৩ স্তরের অনুসন্ধানে রয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এলাকাতেই মূলত অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রুদ্র এলাকায় পাওয়া গিয়েছে সোনা (Gold) সমৃদ্ধ পাথরের খোঁজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঝাড়খণ্ড মালভূমি এমনিতেই খনিজ সমৃদ্ধ। তার সঙ্গে ভৌগোলিক নৈকট্যের জেরে পুরুলিয়া বাঁকুড়া এলাকায় দেখা যাচ্ছে সোনার উপস্থিতি।
আরও পড়ুন : ৩০ লক্ষ নয়, ৫০ কোটি ক্ষতিপূরণ দাবি ৩ সন্তানের মায়ের বিরুদ্ধে! ফের বিষ্ফোরক শানুর প্রাক্তন স্ত্রী
বিরল খনিজের প্রাচুর্য: পুরুলিয়া জেলায় এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে বিরল খনিজ সম্পদের সন্ধান। বর্তমানে জি ২ স্তরের অনুসন্ধান চলছে সেখানে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৪-১৭ ধরণের বিরল খনিজের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। প্রতিরক্ষা খাতে এবং যানবাহনের ব্যাটারি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই খনিজগুলি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন : ‘খুব নোংরা জায়গা…’, অভিনয়ের পেশায় পরিবারের সমর্থন নেই ‘উজি’ আরাত্রিকার
উল্লেখ্য, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত ২৮ টি খনিজ অনুসন্ধান প্রকল্প রাজ্যে শুরু হয়েছে কেন্দ্রের দৌলতে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের বেশ কিছু এলাকায় ম্যাঙ্গানিজ, তামা, গ্রাফাইটের মতো সম্পদের সন্ধানে চালানো হয় এই অভিযান। অন্যদিকে পুরুলিয়ার পাংক্রিডিহ, পুরদহ, মেদনিটাঁড়, চিরুগোড়ার মতো চারটি ব্লক চিহ্নিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিশেষ করে পুরুলিয়ার রুদ্র এলাকাকে সবথেকে সম্ভাবনাময় এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে আনুমানিক ১২.৮৩ মিলিয়ন টন প্রাথমিক স্বর্ণ আকরিক পাওয়া গিয়েছে। আনুমানিক ০.৬৫ টন বা ৬৫০ কেজি খাঁটি সোনা এই আকরিক থেকে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই স্বর্ণ আকরিকের বেশিরভাগটাই রয়েছে পুরুলিয়াতে।












