বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছোটবেলায় ভূগোল বইতে আফ্রিকার সম্পর্কে পড়তে আমাদের সবার ভালো লাগত। আফ্রিকা মানে রহস্যময় এক মহাদেশ। এই আফ্রিকা মহাদেশেই প্রথম আধুনিক মানুষের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদেও ভরপুর আফ্রিকা। কোথাও মহার্ঘ্য সোনা বা হীরে, আবার কোথাও প্রাকৃতিক তেল, আফ্রিকা প্রাকৃতিক দিক থেকেও বৈচিত্র্যময়।
আরোও পড়ুন : ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ টিশার্ট পরার জের! বাবুল সুপ্রিয়র শোয়ে সাউন্ড আর্টিস্টের সঙ্গে যা হল … তোলপাড়
সোনার খনির (Gold Mine) কথা মাথায় আসলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে আফ্রিকা। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না আফ্রিকার মতোই ভারতেও রয়েছে সোনার খনি (Gold Mine)। WGC বলছে, ভারতে রয়েছে প্রায় ২,১৯১.৫৩ মেট্রিক টন সোনা (Gold)। একটি হিসাব থেকে জানা যায়, প্রতিবছর ভারত ৮০০ মেট্রিক টন সোনা ইমপোর্ট করে থাকে।
ভারতের (India) কিছু সোনার খনি (Gold Mine) :
কোলার সোনার খনি : কর্ণাটকে অবস্থিত এই সোনার খনি ভারতের সবথেকে পুরনো সোনার খনি। একই সাথে ভারতের সবথেকে গভীর সোনা খনিও এটি। ইংরেজরা ১৮৮০ সালে এই সোনার খনিটি তৈরি করে। এই সোনার খনি ২০০১ সাল পর্যন্ত খোলা ছিল। এই সোনার খনি থেকে উৎপাদন করা হয়েছে মোট ৮০০ টন সোনা।
হুট্টি সোনার খনি : কর্ণাটক সরকার দ্বারা পরিচালিত হুট্টি সোনার খনি ভারতের একমাত্র সোনার খনি যেটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। এই খনি থেকে প্রতিবছর উৎপাদিত হয় ১.৮ টন সোনা। প্রায় দুহাজার বছর পুরনো এই সোনার খনির উল্লেখ পাওয়া যায় রামায়ণ ও মহাভারতেও।
গনজুর সোনার খনি : কর্ণাটকে অবস্থিত এই সোনার খনির মালিকানা বর্তমানে রয়েছে ‘ডেকান গোল্ড মাইন’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে।
জোন্নাগিরি সোনার খনি : অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত তেলেঙ্গানা বর্ডারে রয়েছে জোন্নাগিরি সোনার খনি।
লাভা সোনার খনি : ভারতের এই সোনার খনিটি অবস্থিত ঝারখণ্ডের চান্ডিলে।
রামাগিরি সোনার খনি : বর্তমানে এমইসিএল-এর সত্ত্বাধীন এই সোনার খনিটি থেকে ব্রিটিশরা প্রচুর পরিমাণ সোনা উত্তোলন করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত এই খনিটিতে সোনা ছাড়া রয়েছে প্রচুর পরিমাণ তামা, লেড ও জিংক।