বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইরাক ও আমেরিকার মধ্যে চলছে ঠাণ্ডা লড়াই। যে কোনো মুহুর্তে বাঁধতে পারে যুদ্ধ। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি হতে পারে আন্দোলিত। ভারতের ধুঁকতে থাকা জিডিপি চলে যেতে পারে খাদের কিনারে। এমনাবস্থায় সোনার দাম কমার কথা আশা করাই যায় না, উলটে সোনা যে আরও মহার্ঘ হবে একথা হলফ করে বলছেন অনেকেই।
কিন্তু এই পরিস্থিতেই সুখবর নিয়ে এল সোনা। রবি ও সোমবার পর পর সোনার দাম বাড়ার পর আবার নিম্নমুখী সোনা। ২২ ও ২৪ ক্যারেট উভয় ক্ষেত্রেই দাম কমেছে। মঙ্গলবার প্রতি গ্রামে গহনা সোনার ( ২২ ক্যারাট) দাম ৩,৯১২টাকা। যা সোমবারের ৩,৯৪০টাকা টাকা।
বিশ্বব্যাপী সোনাকে অর্থনীতির মূল কাঠামো হিসাবে ধরা হয়। কোনো দেশের কাছে কতটা সোনা গচ্ছিত রয়েছে তার উপর সেই দেশটির অর্থনৈতিক কাঠামো নির্ভর করে। একই সাথে ভারতের মত দেশে সামাজিক ক্ষেত্রেও সোনার ভূমিকা অনন্য। সোনা ছাড়া আমাদের দেশে বিবাহ, অন্ন প্রাশন ইত্যাদি কোনো শুভ অনুষ্ঠান কল্পনাই করা যায় না। সোনার দাম বেড়েছে অনেকদিন ধরেই যার জেরে গত কয়েক বছরে অনেক স্বর্ণশিল্পীই সোনার কাজ ছেড়ে অন্য কাজের দিনে পাড়ি দিয়েছে জীবন ধারনের জন্য। একই সাথে চিন্তায় মাথায় হাত পরেছিল মধ্যবিত্তেরও।
তবে এই পতন হতে পারে সাময়িক। আন্তর্জাতিক স্তরে ইরাক ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল হলে তার প্রভাব সোনায় পড়বে বলেই মত অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের।বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারনেও বাড়বে সোনার দাম। যদি সোনার গয়না বানানোর ইচ্ছে থাকে তবে এক্ষুনি তা বানিয়ে নিন। নইলে পস্তাতে হতে পারে।