বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুগ যুগ ধরে আমাদের জীবনে সোনার কদরই আলাদা। অলংকার, উপহার হিসেবেই হোক কিংবা বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম রূপে, সোনার গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অপরিসীম। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তো সোনার দাম (Gold Price) কার্যত আকাশছোঁয়া। তবে, এ কথা ঠিক যে সোনার দর কিন্তু সব সময় এক থাকে না।
সোনার দাম (Gold Price) নির্ধারণ
এটা আমরা সবাই জানি যে সোনার দাম বাজার অনুযায়ী কখনও বেড়ে যায়, কখনও তা আবার কম হয়ে আসে। তবে, এই প্রশ্নটা অনেকের মনের মধ্যেই ঘুরপাক খায় যে, সোনার দাম (Gold Price) আসলে কে ঠিক করে? আর এই বহুমূল্য হলুদ ধাতুর দর কখন বাড়বে আর কখন কমবে সেটাই বা কিভাবে নির্ধারিত হয়?
আরোও পড়ুন : ‘এখনো বিছানায় সক্ষম’ বলে বুক বাজিয়েছিলেন, ৭৫-এ এসে ফের প্রেমে পড়লেন কবীর সুমন!
আজকের প্রতিবেদনে চলুন সেই বিষয়টা নিয়েই একটু স্পষ্টভাবে আলোচনা করা যাক। এই প্রসঙ্গে একটা কথা বলা যায় যে, গহনাপ্রেমীরা প্রতিনিয়ত এই সোনার বাজারের ওঠানামার দিকে লক্ষ্য রাখলেও সোনার দাম কোন সময়ে বৃদ্ধি পায় এবং কোন সময়ে দাম কম হয়, সেই সম্পর্কে কিন্তু কোন পরিষ্কার ধারণা তৈরি করতে পারেন না।
আরোও পড়ুন : আজকের রাশিফল ১৬ ফেব্রুয়ারি, সফলতার শিখরে পৌঁছবে এই চার রাশি
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, সোনা (Gold) রুপোর (Silver) ব্যবসা করা হয় বুলিয়ন মার্কেট এবং সারাফা বাজার থেকে। সাধারণ মানুষ যেমন সারাফা বাজার থেকে সোনা কেনেন তেমনই স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বুলিয়ন মার্কেট থেকে ফিউচার মার্কেটের মাধ্যমে সোনা ও রুপোর ব্যবসা করে। এই ফিউচার মার্কেটে কোনও ফিনান্সিয়াল প্রোডাক্টের দাম নির্ধারণ করা হয়।
এরপর ভবিষ্যতের কোনও তারিখে নির্ধারিত সেই দামেই সোনা ক্রয় অথবা বিক্রয় করা হয় ডেলিভারি করার জন্য। সোনার চাহিদা এবং সাপ্লাইয়ের ডেটা বিশ্লেষণ করে ভারতে একটি মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সোনার দাম নির্ধারণ করে থাকে। লন্ডনের বুলিয়ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েসনের সঙ্গেও MCX-এর কো-অর্ডিনেশন রয়েছে।
সোনা এবং রুপোর ব্যবসার জন্য বুলিয়ন মার্কেটকে প্রাইমারি গ্লোবাল মার্কেট মনে করা হয়। সোনার দাম চাহিদা এবং সাপ্লাই অনুযায়ী ওঠানামা করে থাকে। উৎসব ও কিংবা বিয়ের মরশুমে সোনার দাম চড়চড় করে বাড়তে থাকে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং যুদ্ধ সোনার চাহিদা ও সাপ্লাইতে প্রভাব ফেলে। এর ফলে সোনার দাম ওঠানামা করতে পারে।