বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী সোনাকে অর্থনীতির মূল কাঠামো হিসাবে ধরা হয়। কোনো দেশের কাছে কতটা সোনা গচ্ছিত রয়েছে তার উপর সেই দেশটির অর্থনৈতিক কাঠামো নির্ভর করে। একই সাথে ভারতের মত দেশে সামাজিক ক্ষেত্রেও সোনার ভূমিকা অনন্য। সোনা ছাড়া আমাদের দেশে বিবাহ, অন্ন প্রাশন ইত্যাদি কোনো শুভ অনুষ্ঠান কল্পনাই করা যায় না।
গত কয়েক বছর ধরেই সোনার দাম ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যার জন্য দেশের মধুবিত্তের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ি সহ স্বর্ণ শিল্পীদের অনেকেই লোকসানের মুখে পড়েছে। অনেক স্বর্ণশিল্পীই সোনার কাজ ছেড়ে অন্য কাজের দিনে পাড়ি দিয়ে জীবন ধারনের জন্য।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর দাম বেড়েছিল সোনার ও রুপোর ৷ ৩১ ডিসম্বর ২০১৯ সোনার ও রুপোর দাম বেড়েছিল যথাক্রমে ২৫৬ টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম, 24K ) ও ৪৯৪ ( ১ কিলোগ্রাম ) টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু বছরের প্রথম দিন বুধবার দিল্লিতে সোনার দাম ৩৯৯৪৯ টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম, 24K ) থেকে ১৩১ টাকা কমে ৩৯৮১৮ টাকা হয়েছিল ৷ অন্যদিকে এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ৪৮,২৪৫ টাকা থেকে ৫৯০ টাকা কমে ৪৭,৬৫৫ টাকা হয়েছিল ৷
এবার আবার দাম বাড়ল সোনার। কলকাতায় আজকের সোনার দাম 41,195.00 টাকা (প্রতি ১০ গ্রাম, 24K ) ও রুপোর দাম 49,600 টাকা ( ১ কিলোগ্রাম)। অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন বলেন, ”দেশে সোনার দাম বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দর। সোনা আমদানি করতে হয় ডলার দিয়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে হেরফের না-হলেও যদি ডলারের দাম বেড়ে যায়, তা হলে দেশে সোনার দাম বাড়ে। কারণ, সে ক্ষেত্রে একই পরিমাণ ডলারের জন্য আগের থেকে বেশি টাকা খরচ করতে হয়।”