বাংলা হান্ট ডেস্ক: সোনার দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে। বাংলার বাজারে গত কয়েকদিন ধরে সোনার দাম (Gold Price) কমেছে। যার ফলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন আম-জনতা। প্রসঙ্গত গত কয়েক দিন আগে সোনার দাম ১ লাখের গণ্ডি পার করেছিল। তবে চলতি সপ্তাহ থেকে সোনার দাম কিছুটা কমেছে। যার ফলে স্বস্তি পেলেন ক্রেতারা। এমনকি এই সোনার দাম কমায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও। সোনার দাম সাধারণত ডলারের বিপরীতে টাকার দাম, অপরিশোধিত তেলের দাম ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। এর উপর ভিত্তি করে সোনা কিংবা রুপোর দর কখনও বাড়ে আবার কখনও কমে।
দেখুন আজকের সোনার দরে কী বদল এসেছে? (Gold Price)
চলছে বিয়ের মরশুম। সোনার দাম কমায় কিছুটা হলেও রেহাই পেয়েছে সাধারন নাগরিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার ২৪ ক্যারেট ১ গ্ৰাম সোন কিনতে দাম পড়বে ৯৭৪৭ টাকা। ২২ ক্যারেট ১ গ্ৰাম সোনা কিনতে দাম পড়বে ৯২৬০ টাকা। আজ ২২ ক্যারেট ১ গ্ৰাম সোনা বিক্রি করলে পাবেন ৮৮৬৯ টাকা। ১৮ ক্যারেট ১ গ্ৰাম সোনার দাম পড়বে ৭৬০৫ টাকা। এছাড়াও, রুপোর (৯৯৯) ১ কেজির দাম পড়বে ১,১২,৪০৬ টাকা।
সোনা মধ্যবিত্তদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র যে গয়না হিসেবে হলুদ ধাতুকে দেখা হয় তা কিন্তু নয়। ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবেও অনেকে সোনা কিনে রাখেন। এছাড়াও সোনা কেনার ক্ষেত্রে জুয়েলারিতে হলমার্কের চিহ্ন, হলমার্কিং এর বছর ও ক্যারেট এবং ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডর্ডস (BIS)এর স্ট্যাম্প উল্লেখ থাকে। এই ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডর্ডস হলো এমন একটি সার্টিফিকেট যা নিশ্চিত করে গয়নাটি ব্যুরো কর্তৃক নির্ধারিত মান অনুযায়ী তৈরি হয়েছে কিনা। এছাড়াও যারা সঞ্চয়ের জন্য সোনা কিংবা সোনার বার কেনেন তারা বরাবরই ২৪ ক্যারেটর পাকা সোনা কেনেন।
আরও পড়ুন: কম খরচে পাহাড় ঘোরা সম্ভব, কালিম্পংয়ের এই গ্রাম দেবে আপনাকে সেই সুযোগ
পাশাপাশি সোনা কতটা খাঁটি তা নির্ভর করে ক্যারেটের উপর। সবচেয়ে খাঁটি সোনা হিসাবে ২৪ ক্যারেটের হয়। মূলত এই ২৪ ক্যারেটের সোনার অন্য কোন ধাতু মেশানো থাকে না। যার ফলে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম বাড়ার বেশি থাকে। অপরদিকে, সোনার ক্যারেট যত কম হবে তাতে বেশি পরিমাণে খাদ মেশানো থাকে। যার ফলে গয়নাটি সম্পূর্ণ খাঁটি হয় না। এমনকি, সোনার সঙ্গে অন্য কোন ধাতু মেশানো থাকলে সোনার রঙও বদলে যায়। সূত্রের খবর,এই সোনার দাম কমায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন আগামী দিনে আবারও সোনার দাম আবার বাড়তে পারে। এমনকি, সোনার দাম বর্তমানে কম থাকায় আগামী দিনে বাড়তে পারার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।