বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) সকলের কাছেই এক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও। তবে, এবার এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। যেটি থেকে জানা গিয়েছে, ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার এবার কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে IMF (International Monetary Fund)-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৮ শতাংশ থেকে নেমে আসতে পারে ৫ শতাংশে। পাশাপাশি, ২০২৪ সালে এটি ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মূলত, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তরফে একটি রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালে মুদ্রাস্ফীতির হার আরও কমবে: IMF-এর গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড্যানিয়েল লেহ বলেছেন যে, অন্যান্য দেশের মতো ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২২ সালে ৬.৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে, এটি আরও কমে ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তিনি বলেছেন যে, এটি আংশিকভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পদক্ষেপকে প্রতিফলিত করে।
২০২২ সালের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে: এই প্রসঙ্গে তথ্যের মাধ্যমে IMF জানিয়েছে, “বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি” নিয়ে একটি রিপোর্ট জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, প্রায় ৮৪ শতাংশ দেশে উপভোক্তা মূল্য সূচক-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি (Consumer Price Index) ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কমবে।
কতটা কমবে মুদ্রাস্ফীতি: রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের ৮.৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৬.৬ শতাংশে এবং ২০২৪ সালে ৪.৩ শতাংশে নেমে আসবে। এমতাবস্থায়, করোনার আগে অর্থাৎ ২০১৭-১৯ সালে এটি প্রায় ৩.৫ শতাংশে ছিল।
বিশ্বজুড়ে চাহিদার কারণে প্রভাব দেখা যাবে: মূলত, মুদ্রাস্ফীতির কম হওয়ার যে অনুমান করা হচ্ছে সেটি আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক জ্বালানির দাম হ্রাস এবং বিশ্বজুড়ে দুর্বল চাহিদার কারণে জ্বালানি বহির্ভূত দামের উপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে। IMF জানিয়েছে যে, মূল মুদ্রাস্ফীতি ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ৬.৯ শতাংশ থেকে বার্ষিক ভিত্তিতে ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যে ৪.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
বিশেষজ্ঞদের কি মতামত: এই প্রসঙ্গে একটি ব্লগ পোস্টে, গবেষণা বিভাগের নির্দেশক এবং IMF-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়ের-অলিভিয়ের গোরিঞ্চেস বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি এই বছর হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি দেশে প্রাক-মহামারী মাত্রার স্তর ছাড়িয়ে যাবে।