বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনাকালে ভ্যাকসিন অপরিহার্য বিষয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভারতেও (India) এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের কাজ চলছে জোরকদমে। ভারত বায়োটেক সংস্থা আইসিএমআররের অনুমতি নিয়েই করছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতের কাজ। এমনকি সেই টিকার মানব শরীরে ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে।
ভারতের করোনা ভ্যাকসিন
সমগ্র বিশ্ব এই মহামারির হাত থেকে নিস্তার পেতে চাইছে। যতদ্রুত যম্ভব সঠিক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে রাশিয়া সাফল্য আনলেও, ভারত যে খুব একটা পিছিয়ে নেই, তাঁর প্রমাণ হয়ে গেল। সেইসঙ্গে সঠিক পথেই যে এগোচ্ছে তাও পরিষ্কার ভাবেই বোঝা গেল।
ভ্যাকসিনের মানবদেহে ট্রায়াল
ভুবনেশ্বরে এই ভারত বায়োটেক সংস্থার কোভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের স্ক্রিনিং করা শুরু হয়েছিল গত ২২ শে জুলাই থেকে। গোটা দেশের মানুষ যখন করোনার ভয়ে সিটিয়ে রয়েছে, সর্বদা মৃত্যু ভয়ে ভীত হয়ে আছে, এই পরিস্থিতিতে সাহস করে এগিয়ে এলেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ ধীবর। এই ভ্যাকসিনের মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য স্বইচ্ছায়ই নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন।
টিকা নিতে ভুবনেশ্বর পৌঁছান চিরঞ্জিৎ
ভুবনেশ্বরের The IMS & SUM হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ওই ট্রায়ালের জন্য নির্বাচিতও হয়ে যান চিরঞ্জিৎ। সেই মত ২৪ শে জুলাই ভুবনেশ্বর পৌঁছে তিনি এই টিকা গ্রহণের উপযুক্ত কিনা, সেইকারণে ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, হার্ট, কিডনি এবং লিভার সহ মোট ৫০ ধরনের টেস্ট করানো হয় তাঁকে।
সম্পূর্ণ সুস্থ চিরঞ্জিৎ
২৯ শে জুলাই সেই পরীক্ষার সময় উপস্থিত হয়। চিরঞ্জিৎ ধীবরের শরীরে প্রয়োগ করা হয় প্রথম পর্বের ডোজ, তারপর ১২ ই অগাস্ট দ্বিতীয় পর্বের ডোজ। ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার ৭ দিন ও ১৪ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি টেস্টের জন্য রক্ত নিয়ে ২৮ তম দিনে অর্থাৎ ২৬ শে অগাস্ট ব্লাড স্যাম্পেল দিয়ে, শারীরিক অবস্থার কোন রকম সমস্যা না থাকায় তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। আবারও ১০৪ তম ও ১৯৪ তম দিনে তাঁকে কিছু পরীক্ষার প্রয়োজনে ভুবনেশ্বর যেতে হবে। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থই আছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ ধীবর এং ফিরে এসেছেন নিজের বাড়িতেই।