বাংলা হান্ট ডেস্ক: সীমান্তরক্ষী বাহিনী (Border Security Force)-র কনস্টেবল নিয়োগে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য সংরক্ষণের পরিমাণ বড়সড়ভাবে বাড়াল কেন্দ্র। এত দিন যেখানে এই কোটা ছিল ১০ শতাংশ, সেখানে তা বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। বিএসএফ-এর জেনারেল ডিউটি ক্যাডার (নন-গেজেটেড) নিয়োগের বিধি সংশোধন করেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
BSF (Border Security Force) কনস্টেবল নিয়োগে অগ্নিবীরদের জন্য সুখবর:
নয়া বিধি অনুযায়ী প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বয়সসীমায় বিশেষ ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ব্যাচের অগ্নিবীরদের ক্ষেত্রে নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়সসীমায় পাঁচ বছর পর্যন্ত ছাড় মিলবে। অন্য ব্যাচগুলির প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য এই বয়সছাড় তিন বছর পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। এর পাশাপাশি শারীরিক দক্ষতা পরীক্ষাতেও প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়।
আরও পড়ুন: ফের কামাল করল ISRO! গগনযানের জন্য সফলভাবে সম্পন্ন হল ‘ড্রগ প্যারাসুট’ পরীক্ষা, দেখুন ভিডিও
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার অগ্নিপথ প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সি যুবক-যুবতীরা চার বছরের মেয়াদে অগ্নিবীর হিসেবে স্থলসেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনায় নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ পান। চার বছরের পরিষেবা শেষে মোট নিযুক্ত অগ্নিবীরদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে আরও ১৫ বছরের জন্য স্থায়ীভাবে বাহিনীতে বহাল রাখা হয়, আর বাকি ৭৫ শতাংশকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অগ্নিপথ প্রকল্প শুরুর সময় থেকেই অব্যাহতি পাওয়া অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকার আধাসেনা বাহিনীগুলিতে তাঁদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করে। সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, এসএসবি-সহ বিভিন্ন আধাসেনা বাহিনীর নিয়োগে এত দিন পর্যন্ত প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল। বিএসএফ কনস্টেবল নিয়োগে সেই সংরক্ষণ এক লাফে ৫০ শতাংশে উন্নীত হওয়ায় প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন:জেলে থেকেও নেই রেহাই! ফের দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির
বর্তমানে বিএসএফ পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি ও টহলদারির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে। অভিজ্ঞ, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বড় সংখ্যায় বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে বিএসএফের মানবসম্পদ আরও শক্তিশালী হবে বলেই মত কেন্দ্রের। এই সিদ্ধান্ত অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।












