“ওয়ার্ক ফ্রম হোম” যারা করেন তাঁদের জন্য সুখবর! আসন্ন বাজেটেই হতে চলেছে বিরাট লাভ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমগ্র বিশ্ব মারণ ভাইরাস করোনার প্রভাবে একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি, এই ভাইরাসের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে ভারতেও। ইতিমধ্যেই এই মহামারীর কারণে দেশে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে।

পড়ুয়াদের স্কুল-কলেজ থেকে অফিসের কাজকর্ম, সমস্ত কিছুই এখন হচ্ছে বাড়িতে থেকেই! অদৃশ্য মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে শুরু হওয়া এই কাজকর্মের পদ্ধতিকেই বলা হচ্ছে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”। স্বাভাবিকভাবেই, নতুন এই কর্মপদ্ধতির ফলে পাল্টে গিয়েছে কাজের ধরণও।

এছাড়াও, এর ফলে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”-এর মাধ্যমে যারা কাজ করছেন তাঁদের খরচও বেড়েছে। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে ইন্টারনেট, টেলিফোন, আসবাবপত্র ও বিদ্যুৎ বিলের ওপর।

মহামারীর আগে এই বিপুল খরচ নিয়ে তাঁদের কোনো চিন্তা ছিল না। এমতাবস্থায়, আসন্ন বাজেটে যারা বাড়ি থেকে কাজ করছেন, তাঁরা বড় ধরনের লাভ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে ইউনিয়ন বাজেটে সরকার বেতনভোগীদের বিশেষ কোনো সুবিধা দেয়নি। এই অবস্থায়, এবার “Work from home allowance” মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মূলত, এর আগে কর পরিষেবা এবং আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা Deloitte India তাঁদের নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” ভাতার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি, ওই দাবিতে আরও জানানো হয়েছে যে, সরকার যদি সরাসরি ভাতা দিতে না পারে, তাহলে আয়করের দিক থেকে অব্যাহতি দিক। এই প্রসঙ্গে Deloitte ব্রিটেনের “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” কালচারের উদাহরণও দিয়েছে।

file793ghzxudpiz2okko11 1580531287

একইভাবে, ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া-ও (ICAI) একই রকম সুপারিশ করেছে। সুতরাং, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যদি এই দাবিগুলো বিবেচনা করেন তাহলে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” থেকেই কর্মীরা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত allowance পেতে পারেন। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এখন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

ICAI-এর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে, করদাতাদের স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে সুবিধা দেওয়ার জন্য সীমা বাড়ানো দরকার। বর্তমানে, আয়করের অধীনে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা ৫০,০০০ টাকা। বর্তমানে সেটা বাড়িয়ে এক লক্ষ টাকা করার দাবিও উঠেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর