সুখবরঃ করোনায় দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থতার হার বাড়ল পশ্চিমবঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উৎসবের মরশুমের পর বাংলায় (West bengal) করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও সুস্থতার হার বেশ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। ঝাড়গ্রামের ২ বিধায়ক এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। দুই তৃণমূল বিধায়কের করোনা সংক্রমণে আবারও আতঙ্ক ছড়িয়েছে সবুজ শিবিরে।

বাড়ল সুস্থতার হার
জানা গিয়েছে বাংলায় (West bengal) বর্তমানে ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৬৪ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯৯৩ জন। যদিও গত ৫ দিনে কিন্তু দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৪ হাজারের নীচে রয়েছে। অন্যদিকে একদিনেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার জনেরও বেশি মানুষ।

করোনা আক্রান্ত দুই তৃণমূল বিধায়ক
ঝাড়গ্রামের করোনা আক্রান্ত দুই বিধায়ক হলেন- তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তথা নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু এবং রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতো। গত কয়েকদিন ধরে এই দুই বিধায়কই জ্বরে ভুগছিলেন। বাড়িতেই তাদের চিকিৎসা চললেও শুক্রবার তারা করোনা টেস্ট করান। রিপোর্ট পজেটিভ আসে দুজনেরই।

155771 cobi

হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বিষয়টি জানার পরই তাঁর নির্দেশে ওই দুই বিধায়ককে পৃথক দুটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শুক্রবার চূড়ামণি মাহাতোর জ্বর সেরে গেলেও, এখনও কাশিটা রয়েই গেছে।

চূড়ামণি মাহাতো জানালেন
এবিষয়ে চূড়ামণি মাহাতো জানিয়েছেন, ‘আমাদের জ্বর হওয়ায় আমি ও দুলাল মুর্মু দুজনেই শুক্রবার করোনা টেস্ট করেছিলাম। আমাদের দু’জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। আমাদের পরিস্থিতি শুনে আমাদের দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।’

চূড়ামণি মাহাতোর  স্ত্রী, ছেলে, বড় মেয়ে এবং দুজন নিরাপত্তা রক্ষীকে করোনা টেস্ট করা হলে, তাদেরও রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তবে তাদের শরীরে বিশেষ উপসর্গ না দেখা দেওয়ায় তারা বর্তমানে চিকিৎসকদের পরামর্শ মত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর