বাংলা হান্ট ডেস্ক: শনিবার নাগাদ গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ঢুকলেই দেখতে পাবেন এক বড় বদল। সেখানে গুগল শ্রদ্ধা জানিয়েছে ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হামিদা বানুকে (Hamida Banu)। গুগল তাদের হোমপেজে নিজের লোগোর পরিবর্তে এই মহিলার ছবি দিয়েছে। হামিদা, যিনি ১৯৪০ এবং ৫০ এর দশকে পুরুষদের দ্বারা আধিপত্য বজায় রাখা খেলায় প্রবেশ করেন।
বানুর জন্ম হয় ৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে। তিনি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা। ১৯৫৪ সালের আজকের দিনেই তিনি এমন এক কুস্তি ম্যাচ লড়েছিলেন যা তাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দেয়। হামিদা বানু পরাজিত করেন বিখ্যাত কুস্তিগীর বাবা পাহলওয়ানকে। মাত্র 1 মিনিট 34 সেকেন্ডেই বানুর কাছে হার মানতে বাধ্য হন বাবা পাহলওয়ান। তারপরই তিনি পেশাদার কুস্তি থেকে অবসর নিয়ে নেন।
আসলে বানুর জন্মই হয় এক কুস্তিগীর পরিবারে। তাই তিনি ছোট থেকেই কুস্তি দেখে বড় হয়েছেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন কুস্তিকেই নিজের জীবনের লক্ষ্য বানাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ১৯৪০ এবং ৫০ এর মধ্যে ৩০০ এরও বেশি প্রতিযোগিতা জিতে নেন বানু। তৎকালীন সমাজে। গোড়ার দিকে প্রচলিত সামাজিক সমস্ত রীতিনীতি মহিলাদের বিরুদ্ধে থাকলেও শেষ অবধি জয় লাভ করেন বানু।
আরও পড়ুন:সুরক্ষা নিয়ে বড় আপডেট, যাত্রীদের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ পূর্ব রেলের! শুনে খুশি হবেন
বর্তমান দিনের নারী ক্ষমতায়নের প্রতীক তিনি। এছাড়া বানু পুরুষ কুস্তিগীরদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন যে, প্রথম যে তাকে পরাজিত করতে পারবে তাকেই তিনি বিয়ে করবেন। কুস্তিগীর বানু যান আন্তর্জাতিক মঞ্চেও, সেখানে রাশিয়ান মহিলা কুস্তিগীর ভেরা চিস্টিলিনকে ২ মিনিটেরও আগে হারিয়ে আসেন তিনি। হামিদা বানুর নামই হয়ে যায় আলিগড়ের আমাজন। বানু তার সময়ে কুস্তির পথিকৃৎ ছিলেন। এছাড়া সামাজিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে বানু নিজের পছন্দমত জীবন বেছে নেন।
উল্লেখ্য, গুগল ডুডলটি বানিয়েছেন বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক শিল্পী দিব্যা নেগি। তিনি বলেন যে, ডুডল নিয়ে পড়াশোনা করার সময়ই হামিদার সন্ধান পাই। দিব্যা উল্লেখ করেন যে, যেভাবে তখনকার সময়ে রক্ষণশীল নিয়মের বিরুদ্ধে প্রচন্ডভাবে লড়াই করেন তা কঠিন কাজগুলোর মধ্যে একটি। একজন মহিলা হয়ে সেইসময় এই উচ্চতায় যাওয়া সহজ ছিলনা, কিন্তু হামিদা করে দেখিয়েছিলেন।।