বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে বিশেষ সম্মান, ডুডল-র মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাল গুগল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শনিবার ডুডলের মাধ্যমে ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ সত্যেন্দ্র নাথ বসুকে (Satyendra Nath Bose) শ্রদ্ধা জানাল Google। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অপরিসীম অবদানের জন্য দিনটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে সম্মান জানায় গুগল ডুডল।

jpg 20220604 114454 0000

৪ জুন রাত বারোটার পর থেকেই গুগল সার্চ ইঞ্জিনে দেখা যাচ্ছে গুগলের তৈরি এই ডুডলটি। সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কোয়ান্টাম ফর্মুলেশন নিয়ে গবেষণাপত্রটি ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন নামক একটি বিশেষ বিজ্ঞান জার্নাল বাতিল করে দিলে ১৯২৪ সালের ঠিক এই দিনেই এসএন বোস অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কাছে তার কোয়ান্টাম ফর্মুলেশনগুলি পাঠিয়েছিলেন। যা পরে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের রূপ নেয়।

সত্যেন্দ্র নাথ বসুর খ্যাতির যাত্রা শুরু হয়েছিল শিক্ষাক্ষেত্রে। ১৫ বছর বয়স তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা শুরু করেন এবং এর পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন। তিনি দুটি কোর্সেই শীর্ষস্থান অর্জন করেন। তাঁর বাবা একজন হিসাবরক্ষক ছিলেন, কাজে যাওয়ার আগে সমাধান করার জন্য ছেলেকে পাটিগণিত করতে দিয়ে যেতেন। কারণ গণিতে সত্যেন্দ্রনাথের বিশেষ আগ্রহ ছিল। তখন কেউ জানতো না যে, একদিন তিনি হয়ে উঠেবেন পৃথিবী বিখ্যাত পদার্থবিদ এবং গণিতজ্ঞ, যার নাম জুড়বে ( বোসন) আইনস্টাইনের সঙ্গে।

১৯১৭ সালের শেষের দিকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু পদার্থবিদ্যার উপরে বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন। স্নাতকোত্তর প্ল্যাঙ্কের বিকিরণ সূত্র শেখানোর সময় কণা বা পার্টিকেলস-র গণনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরেই তিনি ডুবে যান তাঁর নিজের কোয়ান্টামের তত্ত্বে। শুরু করেন পরীক্ষা-নিরিক্ষা। এরপর তিনি প্ল্যাঙ্কস ল্য অ্যান্ড দ্য হাইপোথিসিস নামে একটি প্রতিবেদনে তাঁর পরীক্ষা-নিরিক্ষার ফলাফল নথিভুক্ত করেন। এবং পাঠিয়ে দেন ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন নামক একটি বিশেষ বিজ্ঞান জার্নালের কাছে। কিন্তু দুঃখ্যের বিষয়, সত্যেন্দ্রনাথ বসুর কোয়ান্টাম ফর্মুলেশন নিয়ে গবেষণাপত্রটি ফিলোসফিক্যাল ম্যাগাজিন নামক ওই বিশ্ব বিখ্যাত বিশেষ বিজ্ঞান জার্নাল বাতিল করেছিল।

যখন তাঁর গবেষণা প্রত্যাখ্যান করা হয়, তখন তিনি গবেষণাপত্রটি আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। আইনস্টাইন আবিষ্কারের তাৎপর্য স্বীকার করেছিলেন এবং শীঘ্রই বসুর সূত্রটি বিস্তৃত ঘটনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছিলেন। বসুর গবেষণাটি কোয়ান্টাম তত্ত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি। আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে এটি বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান হিসাবে পরিচিত। ‘বোস পরিসংখ্যান’কে মেনে চলা কণার শ্রেণী, ‘বোসন’ নামে পরিচিত হয়। বিজ্ঞানী পল ডিরাক এই নামকরণ করেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর