বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগস্ট মাসে আরজি কর কান্ডের (RG Kar Case) পর বিগত চার মাসে মধ্যে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। কিন্তু আজও বিচার মেলেনি তিলোত্তমার। আরজিকরের তরুণী চিকিৎসককে নির্মমভাবে ধর্ষণ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য-রাজনীতি-দেশ। এই দীর্ঘ সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনে পথে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।
আরজিকর কান্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ডাক্তারদের
তিলোত্তমার নির্মম হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) ঘটনা সামনে আসতেই শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কলকাতা পুলিশের ভূমিকা। এই মুহূর্তে সেই মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে কলকাতার শিয়ালদা আদালতে। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ও ধর্মতলাতেও দীর্ঘদিন আমরণ অনশন চালিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও। আর এবার আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ধর্মতলায় ধর্নায় বসছেন চিকিৎসকরা। ২০ থেকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ধর্না চলবে। এরইমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দাবি করে বসলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত আরজিকরের (RG Kar Case) নির্যাতিতা জুনিয়র চিকিৎসকের প্রতিকী নাম রাখা হয়েছে তিলোত্তমা। কারও কাছে তিনি ‘অভয়া’ নামেও পরিচিত। তাই এবার তাঁকে স্মরণ করেই কলকাতার বিখ্যাত রাস্তার ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম অভয়া ক্রসিং রাখার দাবি তুলছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এখানে বলে রাখা ভালো কলকাতা ধর্মতলার এই ডোরিনা ক্রসিং একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে শুরু করে নানান প্রতিবাদ আন্দোলনের সাক্ষী।
আরও পড়ুন: রাতের ঘুম উড়ল সরকারি কর্মীদের! এবার বড় পদক্ষেপ নিল অর্থ দফতর
তবে এবার কলকাতার এই প্রাচীন এই রাস্তার নাম অভয়া ক্রসিং করার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ এবং কলকাতার মেয়ের ফিরে হাকিমকেও এই বিষয়ে আবেদন করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে ডাক্তারদের এই আবেদন মেনে নিয়ে ইতিমধ্যেই রাস্তার নাম বদলে ফেলেছে গুগল। আর এই অনুরোধ গ্রহণ করার পর গুগলের তরফ থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের মুখ্য সচিব মেয়রকে ইমেইল করে জানানো হয়েছে। বুধবার বিষয়টি WBDF-এর সদস্য চিকিৎসক প্রমোদরঞ্জন রায় জানিয়েছেন।
চিকিৎসকদের অনুরোধেই এই ডোরিনা ক্রসিং-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অভয়া ক্রসিং’। কলকাতা শহরের অন্যতম ব্যস্ত এই ক্রসিং দিয়ে প্রত্যেকদিন পারাপার করেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিহাস বলছে একসময় এই রাস্তাতেই ছিল ‘মা ডোরিনা’ নামের একটি বস্ত্র বিপণী। সেই দোকানের বোর্ডেই একটি নিয়ন আলো জ্বলতো। যা অনেক দূর থেকে দেখা যেত। তাই সেই দোকানের নামেই এই ক্রসিং এর নামকরণ করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে ওই বিপণি আর নেই, কিন্তু নাম রয়ে গিয়েছে।