বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স সূচক অনুযায়ী এশিয়ার শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন ভারতের গৌতম আদানি। প্রথম স্থানে থাকা মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের পর তিনিই ছিলেন ভারত তথা এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধনী। কিন্তু আপাতত তার থেকে ফের একবার এই মুকুট ছিনিয়ে নিলেন চীনা ব্যবসায়ী ঝাং শনশান। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে। চীনের শীর্ষ পানীয় প্রস্তুতকারক কোম্পানির মালিক শনশানের সম্পত্তির মোট পরিমাণ আপাতত ৬৯.৩ বিলিয়ন ডলার।
গত কয়েক দিনে হঠাৎই আদানি গ্রুপের শেয়ার দর ভীষণ পরিমাণে কমে যায়। যার জেরে তার সম্পদের পরিমাণ ৩.৯১ বিলিয়ান ডলার কমে গিয়েছে। আপাতত এই ভারতীয় ব্যবসায়ীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬৭.৬ বিলিয়ন ডলার। আর এই কারনেই আপাতত এশিয়ার তৃতীয় এবং গোটা বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ১৫ তম স্থানে নেমে এলেন গৌতম আদানি। জানা গিয়েছে গত বছর প্রায় ৩৩.৮ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি বাড়িয়েছিল আদানি গ্রুপ। করোনা কালেও তার আদানি গ্রীন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি পাওয়ার প্রভৃতি কোম্পানিগুলি প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন সম্পদ বাড়িয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ এই শেয়ার পতনের কারণ কি? জানা গিয়েছে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্ট জানায় এনএসডিএল তিনটি বিদেশি ফান্ডকে সম্পূর্ণ ফ্রিজ করে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আদানি গ্রুপের চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার শেয়ার। আর সেই কারণেই হঠাৎই পতনের সম্মুখীন হয় আদানি গ্রুপের শেয়ার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স জানিয়েছে গত তিন দিনেই প্রায় ৯.৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আদানি গ্রুপ। যদিও আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তবে এই কারণে আপাতত আদানি গ্রুপের আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার দর প্রায় ৫ শতাংশ পড়েছে। এছাড়া আদানি পোর্টসের শেয়ার পড়েছে প্রায় ৭.১৭ শতাংশ। আদানি গ্রীন এনার্জি এবং আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারেও মারাত্মক পতন ঘটেছে। যার জেরেই আপাতত এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান হারিয়েছেন গৌতম আদানি। তবে এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকায় এখনো শীর্ষে রয়েছেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানিই। আপাতত বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকা ১৩ তম স্থানে রয়েছেন তিনি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স সূচক জানিয়েছে, আপাতত তার সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪.৫ বিলিয়ন ডলার। গতবছর করোনার কারণে ১৭৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হলেও আপাতত এশিয়ার সর্বোচ্চ ধনীর মুকুট রয়েছে তার মাথাতেই।