বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) একইসাথে ৩ টি সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্ল্যান্টের (Semiconductor Plant) প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এই ৩ টি প্ল্যান্ট “ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টরস অ্যান্ড ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম ইন ইন্ডিয়া”-র অধীনে অনুমোদিত হয়েছে। এদিকে, ওই তিনটি প্ল্যান্টের মধ্যে দু’টি গুজরাটে (Gujarat) এবং ১ টি আসামে (Assam) নির্মিত হবে। এই ৩ টি চিপ প্ল্যান্টের জন্য আনুমানিক খরচ হবে ১.২৬ লক্ষ কোটি টাকা।
টাটা গ্রুপ যৌথ উদ্যোগে ২ টি প্ল্যান্ট তৈরি করবে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, টাটা গ্রুপ যৌথ উদ্যোগে ২ টি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। যার মধ্যে ১ টি গুজরাটে এবং অন্যটি আসামে তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, সিজি পাওয়ারও যৌথ উদ্যোগে গুজরাটে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। ১০০ দিনের মধ্যে এই ৩ টি প্ল্যান্টের কাজ শুরু হবে বলেও জানা গিয়েছে।
টাটার যৌথ উদ্যোগ দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি হবে: কেন্দ্রীয় IT মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ওইদিন জানিয়েছেন যে, টাটার জয়েন্ট ভেঞ্চার দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে। ধলেরায় মাইক্রনের সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টের পর সেখানে এই ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। উল্লেখ্য যে, আমেরিকান চিপ কোম্পানি মাইক্রন ২২,৫১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ধলেরায় একটি চিপ অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট তৈরি করছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, টাটা ইলেকট্রনিক্স এবং তাইওয়ানের পাওয়ার চিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন (PSMC)-এর মধ্যে যৌথ উদ্যোগটি ৯১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সাথে গুজরাটের ধলেরাতে একটি চিপ ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট তৈরি করবে। তাইওয়ানে PSMC-এর ৬ টি চিপ ফাউন্ড্রি রয়েছে। গুজরাটে যখন কারখানাটি নির্মিত হবে, তখন প্রতি মাসে ৫০ হাজার ওয়েফার তৈরির ক্ষমতা থাকবে। পাশাপাশি, এটি PSMC-র প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন প্ল্যান্ট হিসেবেও বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে মোদীর মাস্টারস্ট্রোক! নতুন এই প্রকল্পে বিনামূল্যে ৩৬০০ ইউনিট বিদ্যুৎ, লাভ হবে ১৫,০০০ টাকা
২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আসামে প্ল্যান্ট তৈরি হবে: এছাড়াও টাটা গ্রুপের টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড (TSAT) আসামের মরিগাঁওয়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এটির প্রতিদিন ৪.৮ কোটি চিপ তৈরির ক্ষমতা থাকবে।
আরও পড়ুন: শামিকে ঘিরে আশঙ্কার মেঘ? আর কোনওদিন বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না তিনি? বড় আপডেট BCCI-এর
সিজি পাওয়ার এবং রেনেসাস ৭,৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে: এদিকে, টাটা গ্রুপ ছাড়াও, সিজি পাওয়ার জাপানের রেনেসাস ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন এবং থাইল্যান্ডের স্টার মাইক্রো ইলেকট্রনিক্সের সহযোগিতায় গুজরাটের সানন্দে একটি প্ল্যান্ট তৈরি করবে। এই সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টটি ৭,৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে। এখানে প্রতিদিন ১.৫ কোটি চিপ তৈরি করা যাবে। পাশাপাশি, এর ফলে প্রত্যক্ষভাবে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ৬০ হাজার জনের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানা গিয়েছে।