এখনও মেলেনি বকেয়া DA, এরই মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ফের খারাপ খবর?

Published on:

Published on:

government employees(17)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দফায় দফায় ডিএ বাড়ছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government Employees)। আর কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা তথা ডিএ-র ফারাক বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। বাড়ছে অসন্তোষ। কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে কেন্দ্রের অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission)। নয়া পে কমিশনের সুপারিশ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা।

কেন্দ্র যেখানে অষ্টম পে কমিশন গঠনের পথে হাঁটছে, সেখানে রাজ্য পড়ে আছে এখনও ষষ্ঠ পে কমিশনে। বাংলায় কবে সপ্তম বেতন কমিশন (7th Pay Commission) গঠন হবে এই প্রশ্নই এখন সকলের মনে। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকার এই বিষয়ে মুখ খোলেনি।

রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য কি আপডেট? Government Employees

২০২৬ সাল আসতে হাতে আর মাত্র দু’মাস। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য থেকে লাগু হতে চলেছে অষ্টম পে কমিশন। ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এই আবহেই
রাজ্যে সপ্তম পে কমিশনের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হল রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। কবে নয়া পে কমিশন গঠন হবে? সে নিয়ে নবান্নে দেওয়া হয়েছে আইনি চিঠি।

সপ্তম বেতন কমিশনের দাবিতে নোটিস | 7th Pay Commission

কোনও বাঁধাধরা নিয়ম না থাকলেও কেন্দ্র ও রাজ্যে সাধারণত দশ বছর অন্তর পে কমিশন গঠন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর, প্রথম মেয়াদে। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর পে কমিশন (West Bengal 6th Pay Commission) গঠনের কথা ঘোষণা হয়। হিসেব বলছে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের গঠনের পর প্রায় দশ বছর কেটে গেছে। আর ৬ দিন পর ২৬ নভেম্বর ১০ বছর পূর্ণ হবে। এই প্রেক্ষাপটে সপ্তম পে কমিশন গঠনের দাবি উঠছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ঘোষণা হলেও তার সুপারিশ অনুমোদন হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। বাস্তবায়ন হয় আরও পরে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে রাজ্য সরকারকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি নোটিশ দিয়েছে ‘ইউনিটি ফোরাম’। মুখ্য সচিব এবং অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে পাঠানো হয়েছে নোটিস। আইনি নোটিস ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর পক্ষে আহ্বায়ক শ্রী দেবপ্রসাদ হালদার এবং শ্রী পলাশ দত্ত এই নোটিশ জারি করেছেন। রাজ্য সরকার তার কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বা চিন্তাভাবনা করছে সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে এই নোটিসে।

দ্যা ওয়াল এর রিপোর্ট বলছে, ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে নতুন পে কমিশন গঠনের ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। যদিও রাজ্য সরকার তরফে এই বিষয়ে কোনও আপডেট মেলেনি এখনও। সেক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই যে সরকারি কর্মীদের জন্য ভালো খবর আসছে না তা একপ্রকার নিশ্চিত।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যের কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মীদের তুলনায় মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে মোট ৫৮ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। আর বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীনে মাত্র ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ।

ইউনিটি ফোরামের নোটিশে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের (6th Pay Commission) প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়েছে। ষষ্ঠ বেতন কমিশন প্রায় চার বছর দেরিতে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জমা পড়েছিল, যার ফলে একাধিক অসঙ্গতি (anomalies) ছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

government employess

বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির বঙ্গভবনে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৫৮% হারে ডিএ পাচ্ছেন, অথচ পশ্চিমবঙ্গে কর্মরতরা রাজ্যের সরকারি কর্মীরা মাত্র ১৮% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ডিএ নিয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আরও কমল সোনার দাম, রুপোর দামেও বিরাট পতন! কতদিন চলবে এরকম ট্রেন্ড?

অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বকেয়া সহ প্রদান করার পাশাপাশি ১০% সুদ সহ, রোপা 2019 অনুযায়ী বেসিক পে-এর সাথে মার্জ করার দাবি জানানো হয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ এর মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি তোলা হয়েছে। রাজ্যে সপ্তম পে কমিশন গঠনের জন্য অবিলম্বে একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে।