তারিখ পে তারিখ! কেন DA মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে? ফাঁস হল আসল কারণ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১১৯ দিন পর সোমবার ডিএ (Dearness Allowance) মামলা শুনানির জন্য ওঠার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে এবারও শুনানি হল না। প্রতিবারের মতো গতকালও বিশেষ ‘চালেই’ সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা মামলায় আরও কিছুটা চেয়ে নেয় রাজ্য সরকার। আর তার জেরে সেই ঝুলেই রইল ভাগ্য।

কেন এবার ডিএ (Dearness Allowance) মামলার সুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে?

এর আগ ১২বার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। এবারও সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল বাংলার সরকারি কর্মচারীদের DA মামলার শুনানি। আদালত ৪টা পর্যন্ত বসে। সোমবার দুপুর তিনটের পরে সর্বোচ্চ আদালতে যখন বাংলার ডিএ মামলা ওঠে, তখন শুনানির জন্য আরও সময় চেয়ে নেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংঘভি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলার শুনানির জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে সওয়াল করেন তিনি।

কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ নম্বর আদালতকক্ষে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। মোট ৬০টি মামলাই নথিভুক্ত করা হয়েছিল আর সব শেষে ছিল সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবীরা DA মামলার (Dearness Allowance) দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সওয়াল করেন। ওদিকে রাজ্যের আইনজীবী আরও কিছুটা সময় চান। সওয়াল-জবাবের শেষে বিচারপতি রায় এবং বিচারপতি ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে পরে একদিন এই মামলার শুনানি হবে।

dearness allowance

আরও পড়ুন:আবহাওয়ার বড় বদল! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় ভারী বৃষ্টি? আবহাওয়ার খবর

এরপর মামলার পরবর্তী শুনানি কবে রয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানায় নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে সর্বোচ্চ আদালত তরফে জানানো হয়েছে মামলাটির বিস্তারে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। ওদিকে মামলাটির দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশনের আইনজীবী। মামলাটির শুনানির দিন কবে ঠিক হবে তা জানা যাবে ২ সপ্তাহ পর। জানা গিয়েছে এদিন শুনানির জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। এরপরই শুনানি স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর