বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর (Government Employees) মৃত্যুর পর সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস (পেনশন) বিধি ২০২১ অনুসারে মাসিক পেনশন (Pension) দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। একে বলে পারিবারিক পেনশন (Family Pension)। এবার এই ফ্যামিলি পেনশন নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
পারিবারিক পেনশন নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ আদালতের | Calcutta High Court
বাবার মৃত্যুর পর যদি ডিভোর্স হলে বাপের বাড়ির পারিবারিক পেনশনের কোনও অধিকার থাকবে না মেয়ের। সোমবার পেনশন সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চ৷
কি নিয়ে মামলা?
আবেদনকারী মহিলার বাবা ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি থেকে অবসর নেন৷ ২০০৩ সালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর মৃত্যু হয়৷ সেই সময় বিবাহিত হলেও বাবার পেনশনের ভাগ করেছিলেন মামলাকারী৷ তবে ২০১৬ সালে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তার। সেই সময় আর্থিক সমস্যার কথা জানিয়ে ফের বাবার পেনশনের ভাগ চেয়ে আবেদন জানান৷
ক্যাট ওই মহিলার আর্জি মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকরাকে পেনশন প্রদানের নির্দেশ দেয় ৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার মামলা আদালতে উঠলে কেন্দ্রের আইনজীবীর যুক্তি, যেহেতু বাবার মৃত্যুর সময় ওই মহিলা বিবাহিতই ছিলেন এবং বাবার পেনশনের উপরে নির্ভরশীল ছিলেন না ফলে এখন এত বছর পর হঠাৎ তিনি পেনশন চাইতে পারেন না৷
কেন্দ্রের যুক্তি, নিয়ম মতো শুধুমাত্র অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পরিবারে যাঁরা নির্ভরশীল, তাঁরাই পেনশনের ভাগ পেতে পারেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, বাবার মৃত্যুর সময় মেয়ে যদি তাঁর উপরে নির্ভরশীল হন, তাহলে তিনি বাবার পেনশন পাওয়ার অধিকারী৷ কিন্তু যদি বাবার মৃত্যুর সময় মেয়ে স্বামীর উপরে নির্ভরশীল হন তাহলে তিনি ওই পেনশন মেয়ে পাবেন না৷

আরও পড়ুন: হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলতেই বিপাকে কেন্দ্র! আরও কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কোন মামলায়?
আদালত স্পষ্ট করে দেয়, মেয়ে যদি বাবার মত্যুর পর বাপের বাড়িতে ফিরেও আসেন, তাও তিনি পেনশনের ভাগ পাবেন না। হাইকোর্ট জানায়, বাবার মৃত্যুর সময় আবেদনকারী মহিলা বিবাহবিচ্ছিন্না ছিলেন না৷ ডিভোর্সের মামলাও চলছিল না সেই সময় তাই তিনি বর্তমানে পেনশন পাওয়ার অধিকারী নন৷












