বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাল ২০১৫-র ১ জুলাই মোদী সরকার (Government of India) চালু করেছিল ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ (Digital India) প্রকল্প। বিগত ৭ বছরে দারুন সাফল্য পেয়েছে এই প্রকল্পটি। বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ভারতীয় নাগরিকরা। গত বুধবারই এই প্রকল্পের উন্নতি সাধনে ১৪,৯০৩ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে মোদী সরকার।
এইদিন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের সম্প্রসারণের ফলে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সহজ হয়ে উঠবে। পাশাপাশি দেশের আইটি এবং ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেম তৈরির কাজেও উন্নতি হবে। বিশেষ বিষয় হল এই সময়ে সরকার ডিজিটাল পরিকাঠামো আরও মজবুত করতে নয়টি নতুন সুপার কম্পিউটার (Super Computer) তৈরির পরিকল্পনা করছে।
এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে এই সুপার কম্পিউটার ঠিক কী? জানিয়ে রাখি, এইমুহুর্তে ভারতে মোট ১৮টি সুপার কম্পিউটার রয়েছে। যার সাহায্যে দেশে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে। ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি মানুষের আগ্রহ যেভাবে দিনদিন বাড়ছে তাতে সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের উন্নতি সাধন করবে তা বলাই বাহুল্য। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রায় ৭০টি সুপার কম্পিউটার ইনস্টল করার জন্য ৪,৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছিল।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপার কম্পিউটার হল সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় অনেক দ্রুত কর্মক্ষমতা সম্পন্ন একটি কম্পিউটার। যার কর্মক্ষমতা মিলিয়ন ইনস্ট্রাকশন পার সেকেন্ড (MIPS) এর পরিবর্তে ফ্লোটিং-পয়েন্ট অপারেশন পার সেকেন্ডে (FLOPS) পরিমাপ করা হয়। এছাড়াও সুপার কম্পিউটারে হাজার হাজার প্রসেসর রয়েছে যা প্রতি সেকেন্ডে ট্রিলিয়ন গণনা করতে পারে। যেহেতু সুপারকম্পিউটারগুলিতে প্রসেসর অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি দ্রুত চলে তাই তারা রিয়েল-টাইম অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আদর্শ।