পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় দুর্নীতির দিন শেষ! এবার বিরাট পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতি কাঁটায় একাধিকবার বিদ্ধ হতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে (Government of West Bengal)। মাঝেমধ্যেই দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করতে দেখা যায় বিরোধীদের। বহুবার পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় (Panchayat System) দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেও দেখা গিয়েছে। এবার সেই সকল দুর্নীতি রুখতে বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া হল। পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চালু হতে চলেছে বদলি নীতি।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত সমিতির একজন আধিকারিককে বেনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অতীতে নানান সময়ে নানান পঞ্চায়েতের একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে। এবার এই ‘দুর্নীতি সমস্যা’ (Corruption Free) একেবারে মূল থেকে উপড়ে ফেলতে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য।

   

জানা যাচ্ছে, এবার থেকে পঞ্চায়েত দফতরে কর্মরত (Panchayat Department) কোনও কর্মী তিন বছরের অধিক একই পঞ্চায়েত সমিতি অথবা গ্রাম পঞ্চায়েতে থাকতে পারবেন না। তিন বছরের বেশি হয়ে গেলেই তাঁদের বদলি করে দিতে হবে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত দফতর থেকে রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসকের কাছে এই মর্মে একটি নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘৩টে অবধি দেখব…’! দিল্লির তাজ হোটেলে কী ঘটেছিল? রাজ্যপালের ‘কীর্তি’ ফাঁসের হুঁশিয়ারি কুণালের!

তিন বছরের অধিক সময় ধরে যারা একই পঞ্চায়েত সমিতি অথবা গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ করছেন, তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই তাঁদের বদলির নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে বলে খবর।

এদিকে বছরের পর বছর ধরে যদি একই জায়গায় পোস্টিং থাকে তাহলে অনেকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিসে না যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গেই প্রশাসন মনে করছে, বহু ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন একই জায়গায় থাকার ফলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের মধ্যে একপ্রকার ‘আঁতাত’ গড়ে ওঠে, যা অনেক সময় ভালো হয় না। এর ফলে বহুক্ষেত্রে সরকারি পরিষেবা থেকে আমজনতাকে বঞ্চিত হতে হয়।

mamata nabanna

উল্লেখ্য, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ৩,৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৩৩২টি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা- একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রুপায়নে পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের অনুমান, পঞ্চায়েত ব্যবস্থাতেও যদি বদলি নীতি শুরু হয় তাহলে সার্বিকভাবে জনগণের সুবিধা হবে। এর ফলে একদিকে যেমন কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে, তেমনই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে পঞ্চায়েত কর্মীদের ‘অশুভ আঁতাত’ গড়ে ওঠার সম্ভাবনাও কমবে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর