বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার থেকে আর ইচ্ছেমত বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি (School Admission) করা যাবেনা। স্কুল পড়ুয়াদের জন্য নূন্যতম সময় বেঁধে দিল শিক্ষা দফতর (Department Of School Education)। এবার থেকে নূন্যতম বয়সের (Age Limit For Admission) গণ্ডি ছুলে তবেই পড়ুয়ারা স্কুলের গেট পার হতে পারবে। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানালো পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। এবং আগামী শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ক্ষেত্রে এই নিয়মই লাগু হবে।
নূন্যতম বয়সসীমা দিল শিক্ষা দফতর
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রকের তরফে এক নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যাতে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে গেলে সেই পড়ুয়ার নূন্যতম বয়স কত হতে হবে তার তালিকা রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই নিয়ম মেনে স্কুলে ভর্তি করা হলে খুদেরা সঠিক সময়ে সঠিক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে পারবে।
আরও পড়ুন : আরও কদর বাড়ল ভারতীয় পাসপোর্টের, এবার ভিসা ছাড়াই ঘুরতে পারবেন এই দেশ! হল বিরাট ঘোষণা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবছরই ডিসেম্বর বা জানুয়ারির দিকে এই নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য। এবারও নভেম্বর শেষ নাগাদ চলে এল বিস্তারিত গাইডলাইন। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিশুর বয়স হতে হবে নূন্যতম ৬ বছর। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী (২০০৯) ৬ থেকে ১৪ বছর ( বিশেষ ভাবে সক্ষম হলে ৬ থেকে ১৮ বছর) বয়সি পড়ুয়ারা নিকটবর্তী প্রাক প্রাথমিক বা প্রাথমিক স্কুলে তাদের বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্লাসে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
কোন বয়সে কোন ক্লাসে ভর্তি হতে পারবে সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত গাইডলাইন দেওয়া হল নিচে (সবটাই ২০২৪ এর ১ জানুয়ারির নিরিখে)
প্রথম শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ৬ থেকে ৭ বছর।
দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ৭ থেকে ৮ বছর।
তৃতীয় শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ৮ থেকে ৯ বছর।
চতুর্থ শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ৯ থেকে ১০ বছর।পঞ্চম শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ১০ থেকে ১১বছর।
ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ১১ থেকে ১২ বছর।
সপ্তম শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ১২ থেকে ১৩ বছর।
অষ্টম শ্রেণির জন্য বয়সসীমা ধার্য্য করা হয়েছে ১৩ থেকে ১৪বছর।
আরও পড়ুন : ‘ভারতই বিশ্বগুরু হবে, অন্য দেশের শিক্ষার প্রয়োজন নেই’, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে স্পষ্ট কথা মোহন ভাগবতের
পাশাপাশি নির্দেশিকায় এটাও বলা হয়েছে যে, লটারির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ না পেলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের সাথে কথা বলতে পারেন আধিকারিকরা।