খাবারে বিষক্রিয়া! আমূলের দইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একটি নামি সংস্থার দই থেকে বিষক্রিয়া (Food Poisoning) ছড়ানোর জের! বিষক্রিয়ার কারণে পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan) রায়না ও জামালপুরের অনুষ্ঠান বাড়িতে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়েছে বলে খবর। তাদের হাসপাতালে ভর্তি অবধি করা হয়েছে বলে খবর। আর তারপরেই এই নির্দিষ্ট ব্যাচের দই নিষিদ্ধ করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। নির্দেশ অমান্য করলেই মিলবে কড়া শাস্তি।

সূত্রের খবর, এইদিন পূর্ব বর্ধমানের মেমার ও রায়না এলাকায় একটি শ্রাদ্ধবাড়ির খাবার খেয়ে প্রায় দেড়শো জন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। একইরকম কিছু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাঁকুড়া জেলাতেও। খবর সামনে আসতেই মেডিক্যাল টিম পাঠায় পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা যায়, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

এরপরেই পূর্ব বর্ধমানের দুটি জেলা থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, দুই জায়গাতেই মিষ্টি দই খাওয়ানো হয়েছিল। আর এই মিষ্টি দই তৈরি হয়েছিল বাঁকুড়ার ‘ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্টস লিমিটেড’এ। এইদিন পূর্ব বর্ধমানের উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক (২) সুবর্ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল দুই জায়গাতেই আমুলের মিষ্টি দই খাওয়ানো হয়েছিল। দইয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার ব্র্যান্ড নেম ‘আমুল মিষ্টি দই’ ও ব্যাচ নম্বর কেপিভি৩৬৫৩।’

আরও পড়ুন : দারুণ সুখবর! এই রুটে স্পেশ্যাল বন্দে ভারতের ঘোষণা রেলের, বাড়ল ৬৭৭৩ টি সিট, রইল সময়সূচী

এরপর দইয়ের নমুনার মাইক্রোবায়োলজিক্যাল টেস্ট করানো হয়। টেস্টে ‘স্টেফাইলোকক্কাস অরাস’ নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মিলেছে বলে খবর। এইদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, এই দই থেকেই যে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। যে কারণে পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দফতর এই দই-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সাথে সমগ্র জেলায় খবর পৌঁছে দেওয় হয়েছে। এবং জানানো হয়েছে, এই নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের আমূল মিষ্টি দই কেউ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর