বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ট্যাব কেনার টাকা দেয় সরকার। এই স্কিমের (Government Scheme) অধীন ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেটা দিয়ে তাঁরা ট্যাব কিংবা স্মার্টফোন কেনেন। চলতি বছর বাংলার বেশ কিছু বিদ্যালয় থেকে অভিযোগ আসছে, তরুণের স্বপ্নের টাকা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে না এসে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে।
এবার সরাসরি ট্যাব কিনে দেবে সরকার (Government Scheme)?
বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি অংশের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার দরুন তরুণের স্বপ্ন (Taruner Swapna) প্রকল্পে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও শিক্ষা দফতর সেকথা মানতে রাজি নয় বলে খবর। সোমবার এই প্রসঙ্গে শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, যে সকল শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর পোর্টালে তুলেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ হয়তো অসতর্কতায় নম্বর লিখতে ভুল করেছেন। কিংবা জেনেবুঝে ভুল নম্বর পোর্টালে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা দফতরের ওই কর্তার কথায়, ‘অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়নি। বিদ্যালয়ের যে সকল শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর পোর্টালে তুলেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ হয়তো অসতর্কতাবশত নম্বর লিখতে ভুল করেছেন। কিংবা ইচ্ছা করে ভুল লেখা হয়েছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে’। শিক্ষা দফতরের একজন কর্তা জানিয়েছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের (Government Scheme) ওই টাকা উদ্ধার হলে তা আবার পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ উৎসবের আবহে লক্ষ্মীলাভ! ২.৬৩% DA বৃদ্ধির ঘোষণা! কোন কর্মীর অ্যাকাউন্টে কত ঢুকবে?
এদিকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টের টাকা তো আর প্রধান শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে না। তাহলে কেন তাঁকে দোষী বলা হচ্ছে’। বাঙুরের নারায়ণ দাস মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া আবার সরকারি প্রকল্পের (Government Scheme) মাধ্যমে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে সরাসরি ট্যাব কিনে দেওয়ার কথা বলেছেন।
সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘স্রেফ হ্যাক হওয়াই নয়, অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়ে অন্য কাজে ব্যবহারের অভিযোগও পেয়েছি। অ্যাকাউন্টে টাকা না পাঠিয়ে যদি সরাসরি ট্যাব কিনে দেওয়া হয়, এসব অসুবিধা থাকে না’। এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘ট্যাব কিনে দেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সব দিক খতিয়ে দেখার পর শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেবে’।