বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রথমে সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এরপর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) যাবতীয় মামলার তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেয় আদালত। সেই মতো জোরকদমে ‘শাহজাহান গড়ে’ তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকরা। এর মাঝেই সামনে এল বড় খবর। সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট, তার বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য (Government of West Bengal)!
জানা যাচ্ছে, শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) এই নিয়ে আবেদন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর এই খবর এমন একটা দিন সামনে এসেছে যেদিন সন্দেশখালির সরবেড়িয়া থেকে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খাঁয়ের ভগ্নিপতির বাড়িতে হানা দেন সিবিআই (Central Bureau of Investigation) গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধার করা হয় বলে খবর। একইসঙ্গে বাড়ির মেঝে খুঁড়ে প্রচুর বিদেশি বন্দুকও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এনএসজির (NSG) দল রোবট নামিয়ে সেই বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন উত্তাল, তখনই সামনে এল মমতা সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার খবর।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শাহজাহানের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে তাঁরা হামলার মুখে পড়েন। এই ঘটনার পর প্রায় ২ মাস গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শাহজাহান। পরবর্তীকালে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুলে দেয় হাই কোর্ট (Calcutat High Court)।
এরপর জমি দখল, নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে সন্দেশখালির যাবতীয় মামলার তদন্তের দায়িত্বও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে সঁপে উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গেই রাজ্যকে এই ব্যাপারে সকল সাহায্যের নির্দেশ দেওয়া হয়। পোর্টাল বানিয়ে অভিযোগ নেওয়ার কথাও বলে হাই কোর্ট। পাশাপাশি জানানো হয় গোটা বিষয়টি আদালত পর্যবেক্ষণ করবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত করছিল সিবিআই। কিন্তু তার মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। শীর্ষ আদালত কী রায় দেয় সেটাই এবার দেখার।