বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকল মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই কোনও না কোনও প্রকল্প চালু করেছে সরকার (Government of West Bengal)। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, তরুণের স্বপ্ন, স্বাস্থ্যসাথী সহ একাধিক স্কিমের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। এবার এমনই একটি প্রকল্প (Government Scheme) নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে জেলাশাসকদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর তথা এসওপি-তে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কোন প্রকল্প নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Government of West Bengal)?
একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেষ আবাস যোজনার ক্ষেত্রে রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ডিসেম্বর মাসে বাংলার লক্ষ লক্ষ উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে এই স্কিমের টাকা পাঠিয়েছে রাজ্য। এবার গ্রামাঞ্চলে বাংলার আবাস যোজনায় তৈরি বাড়ির গায়ে রাজ্যের নিজস্ব লোগো দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। শীঘ্রই নবান্নের তরফ থেকে এই লোগো জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে খবর।
নবান্ন (Government of West Bengal) সূত্রে জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব জেলাগুলির কাছে এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে বাংলার আবাস যোজনা তথা বাংলার বাড়ির (গ্রামীণ) জন্য তৈরি এসওপি পাঠিয়েছে। সেখানে বেশ কিছু নির্দেশিকা রয়েছে। জেলাশাসকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তারা যাতে ন্যায্যদামে সব নির্মাণ সামগ্রী পেতে পারেন, তার জন্য ডিলারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেই সঙ্গেই নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহ কাঁচামাল যাতে ঠিক থাকে, সেই জন্য বিডিওদের স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতার বদলে একি কাণ্ড! রাজ্য সরকারের প্রকল্প নিয়ে হৈচৈ
বাংলার আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পের উপভোক্তারা মূলত আর্থিক ভাবে দুর্বল। সেই কারণে তাঁদের বাড়ি নির্মাণের কাজে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় সেই জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া রাজ্যের এই স্কিমে টাকা পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ১ বছরের মধ্যে নূন্যতম ২৫ বর্গমিটারের মধ্যে এই ঘর তৈরি করে ফেলতে হবে। উপভোক্তা যদি ভূমিহীন হন, তাহলে তাঁর ঘর নির্মাণের জন্য উপযুক্ত সরকারি জমি চিহ্নিত করে পাট্টা দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে জেলা ভূমিসংস্কার আধিকারিককে।
এখানেই শেষ নয়! বাংলার আবাস যোজনা তথা বাংলার বাড়ি (Banglar Bari) প্রকল্পে নির্মিত ঘরের সঙ্গে রাজ্যের নির্মল বাংলা প্রকল্পের টাকায় শৌচাগার তৈরি করে দিতে হবে। পরিবারগুলির জীবনযাত্রার জন্য জুড়তে হবে পঞ্চায়েতের আনন্দধারা প্রকল্প।
এর পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে বাড়িতে জল এবং এসইডিসিএলের মাধ্যমে বিদ্যুতের বন্দোবস্ত করতে হবে (Government of West Bengal)। জানা যাচ্ছে, উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সমীক্ষকরা তা গিয়ে দেখবেন। ছবি তুলবেন ও জিওট্যাগ করবেন। পাশাপাশি বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এটা জানাবেন। এর ওপর ভিত্তি করে ব্লক স্তরের আধিকারিকরা সেটা অনুমোদন করবেন।