বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Government Of West Bengal)। বেকারদের জন্য যেমন আছে বেকার ভাতা, তেমনই পড়ুয়াদের জন্যও একাধিক স্কলারশিপ (Scholarship) চালু করেছে রাজ্য সরকার।
ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তাদের আর্থিক সুবিধা এবং বিশেষ স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের মতো প্রকল্পগুলি। তেমনই রয়েছে সহানুভূতি স্কলারশিপ ( Scholarship)।
কি এই স্কলারশিপ?
জানিয়ে রাখি, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর বিকাশ ভবন তরফে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে বলে রাখা ভালো সবার জন্য এই স্কলারশিপ নয়, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই স্কলারশিপ। অবশ্যই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধী হতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের ১২,০০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। যা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষার খরচ থেকে শুরু করে টিউশন ফি বা অন্যান্য যাবতীয় খরচ মেটাতে পারবে। মূলত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ প্রতিবন্ধী, অস্থি সংক্রান্ত যে কোনও প্রতিবন্ধী বা মানসিক প্রতিবন্ধী (সর্বনিম্ন ৪০% প্রতিবন্ধকতা থাকতে হবে) ছাত্রছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ন্যূনতম নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতে হবে উক্ত ছাত্র বা ছাত্রীকে। বিগত পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। নবম শ্রেণী থেকে কলেজ পড়ুয়াদের জন্যই এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ২ লক্ষ টাকার নীচে।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ! নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিলেন শুভেন্দু, কী লিখেছেন চিঠিতে?
অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রথমে স্কলারশিপের আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে সেটি প্রিন্ট করতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট জেলা জনশিক্ষা প্রচার আধিকারিকের অফিসে গিয়ে জমা করতে হবে ফর্ম। ইতিমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শেষ তারিখ আগামী ২৮ নভেম্বর।












