বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকার মাধ্যমে উপকৃত হন গোটা রাজ্যের মানুষ। তবে বিগত কিছুদিন ধরে সরকারের (Government Of West Bengal) একাধিক প্রকল্পের টাকা উধাও হওয়ার খবর সামনে এসেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার ১০০০০ টাকা সহ আরও একাধিক প্রকল্পের টাকা আসল প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না এসে চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে। এই সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা দিচ্ছে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার তরুণের স্বপ্ন (Taruner Swapno Scheme) প্রকল্পে।
কোনো কোনো স্কুলের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের একাংশের টাকা চলে যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে। আবার কখনও পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে অতিরিক্ত টাকা। এরমই ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমানেও। অভিযোগ ছিল, ওই জেলার ২৮ জন পড়ুয়ার টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। এই খবর চাউর হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বিষয়টি যাতে খতিয়ে দেখা হয়ে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই ২৮ জন টাকা ফিরে পেল।
বর্ধমানের সিএমএস স্কুল থেকেই অভিযোগ অনেক আগেই অভিযোগ এসেছিল। স্কুলের প্রধানশিক্ষক জানান একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে মোট ৪১২ জন পড়ুয়া ট্যাব কেনার জন্য সংশ্লিষ্ট পোর্টালে আবেদন করেছিল। তবে সকলের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ সামনে আসে। পরে ব্যাঙ্কে খোঁজ নিলে জানা যায় তাদের প্রকল্পের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে।
এরপর জেলার স্কুল পরিদর্শক (ডিআই), অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা), ডিপিওকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগ দায়ের হয়ে সাইবার থানাতেও। সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের ২৮ জন পড়ুয়া সোমবারই ট্যাবের টাকা ফিরে পেয়েছে নিজেদের অ্যাকাউন্টে। বর্ধমানের আরও একাধিক স্কুলের ‘বঞ্চিত’ পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টেও ঢুকে গিয়েছে প্রকল্পের টাকা।
আরও পড়ুন: ‘মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা..,’ এবার যা বললেন মমতা, জোর শোরগোল শুরু
তবে একের পর এক জায়গায় এভাবে প্রকল্পের টাকা অন্যত্র চলে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেলেই এই বিষয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। ঠিক কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।