বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এমনিতে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের সারা বছরই পায়ের তলায় সর্ষে। তাই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা যে কোনো মরশুমেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন সকলেই। শীতকাল আসলেই ভ্রমণ পিপাসুদের কিছুতেই মন টেকে না বাড়িতে। এক দু’দিনের ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন কাছেপীঠের পর্যটনকেন্দ্র গুলিতেই।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ মন্দারমণির হোটেল মালিক
দুই-একদিনের এমনই ছোটখাটো ট্যুরের জন্য বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র হল দীঘা। দিনে দিনে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রেও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মন্দারমণি। বিগত কয়েক বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই সৈকত নগরীতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে।বিশেষ করে পর্যটন মরশুম গুলোতে এই সৈকত শহরে তিল ধারণের জায়গা থাকে না।
তবে একথা ঠিক এই পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ার সাথে সাথেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে একাধিক হোটেল রিসর্ট, যা এলাকার বহু মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করে দিয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে মন্দারমনিতে এই হোটেল ব্যবসার পিছনেই ব্যয় করা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
কিন্তু এখানেই রয়েছে বিরাট গণ্ডগোল। অভিযোগ মন্দারমণিতে সমুদ্রের ধারে যে সমস্ত হোটেল রিসর্ট বানানো হয়েছে তা অনেকেই নিয়ম না মেনে তৈরি করেছেন। লাগাতার এরই কুপ্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। এবার এই মামলা গড়িয়েছে কেন্দ্রের পরিবেশ আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে মন্দারমণির অবৈধ ১৪০টি হোটেল-রিসর্ট ভেঙে ফেলার নোটিশ দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
কিন্তু পর্যটন-মরশুম শুরু হওয়ার আগেই প্রশাসনের কড়া নির্দেশে এবার কোপ পড়তে চলেছে এই হোটেল ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থানে। যার ফলে এবার দুশ্চিন্তার ভাঁজ হোটেল মালিকদের কপালে। তাই আগামী কুড়ি নভেম্বরের মধ্যে এই সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা কিংবা সরিয়ে ফেলা নির্দেশের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতে চলেছে মন্দারমণির হোটেল মালিকরা।
আরও পড়ুন: যৌনাঙ্গে ঢোকানো হল বাইকের চাবি! আলিপুরদুয়ারে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে…
বিষয়টি যাতে বিবেচনা করে দেখা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তারই আর্জি জানানো হয়েছে এদিন। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি জানিয়েছেন,’নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২০ নভেম্বর একটি দিনও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলবো না।’ জানা যাচ্ছে মন্দারমণির সমুদ্রপাড়ে এই সমস্ত হোটেল-রিসোর্ট গড়ে তোলার জন্য পোস্টাল রেগুলেশন অ্যাক্ট মানা হয়নি।
বিগত কয়েক বছর ধরেই বেআইনিভাবে মন্দারমনিতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু হোটেল রিসর্ট সহ একাধিক দোকান। সূত্রের খবর ১১ নভেম্বর সিআরজেড (কোস্টাল রেগুলেটেড জ়োন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি)-র জেলা কমিটির তরফে মন্দারমণি এবং সংলগ্ন আরও চারটি মৌজায় ১৪০টি হোটেল, লজ, রিসর্ট এবং হোম স্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।