বাংলা হান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প এটি। তাই উদ্বোধনে কোথাও যেন কোনও খামতি না থাকে। কিন্তু হলে কী হবে! রীতিমতো খামখেয়ালি মনোভাব দেখাল ভল্কা বারবিশা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েত। পথশ্রী রাস্তাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা রাজ্যেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাস্তার কাজের সুচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কাবারবিশা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতেও রাস্তার কাজের উদ্ধোধন হয় মঙ্গলবারই।
সেই অনুষ্ঠানের আয়োজনে সকাল থেকেই ব্যাস্ত ছিল ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা। ছিল মাইকের ব্যবস্থাও। সংগীতানুষ্ঠানের পর বৈদ্যুতিক পর্দায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা দেখানো হয় সকলকে। এরপরই অভিযোগ ওঠে, গোটা অনুষ্ঠানই চলল অবৈধ ভাবে ইলেকট্রিক খুটি থেকে হুকিং করা বিদ্যুৎ দিয়ে। সেখানে ব্যবস্থা ছিলনা কোনও রকম বৈদ্যুতের মিটারের। অথচ সেই রাস্তা উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই বক্তব্য রাখেন প্রসাশনিক আধিকারি থেকে সমাজসেবিরা।
ভল্কা ১ গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জিত দাস জানান আমার নিজের বুথে রাস্তা উদ্বোধন হয়েছে। তবে আমি উপস্থিত ছিলাম না। শুধু তাই নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপস্থিত ছিলেন না সেখানে। গোটা অনুষ্ঠানটি অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে কুমারগ্রামের বিডিও মিহির কর্মকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিদ্যুৎ চুরির কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। কামাখ্যাগুড়ি বিদ্যুৎ বন্টন সুত্রে জানা গিয়েছে হুকিং করার কোন রকম অভিযোগ এখনও পর্যন্ত জমা পরেনি।
সরকারি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ চুরি করে মাইক বাজানোর অভিযোগ! কাঠগড়ায় পথশ্রী প্রকল্প pic.twitter.com/R4bU1bQLtK
— Bangla Hunt (@BanglaHunt) March 29, 2023
অপর এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘যে সরকার নিজেই এত নিয়মের জ্ঞান দেয় তারপরও এমন কাজ করে। এদের তো লজ্জা হওয়া উচিত। একটা সরকারি অনুষ্ঠান হচ্ছে চুরি করা বিদ্যুৎ-এ। এট লজ্জার আর কী হতে পারে? তৃণমূল বে-আইনি কাজ করতে ভালোবাসে তাই হুকিং করেই চালিয়ে দিচ্ছে।’
বিরোধী দলের এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘আমি ওই অনুষ্ঠানে যাই নি। ওখানে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে। একটা সরকারি অনুষ্ঠান সরকারি ভাবে হওয়া উচিত ছিল। এভাবে চুরি করা বিদ্যুৎ-এ সরকারি অনুষ্ঠান করা উচিত নয়।