বাংলাহান্ট ডেস্ক : যোগব্যায়ামের নামে হিন্দু ছাত্রদের নমাজ পড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ সরকারি স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে শিক্ষককে। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বুরহাপুর জেলায় একটি সরকারি স্কুলের এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
শিশুদের নমাজ শেখানোর অভিযোগ মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) স্কুলে
অভিযুক্ত শিক্ষক জবুর তাদভি শাহপুর থানা এলাকার দেওহারি গ্রামের এক সরকারি মধ্য বিদ্যালয়ে পড়াতেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এই ঘটনায় তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। স্কুল (Madhya Pradesh) সূত্রে খবর, দীপাবলির ছুটির সময় কিছু অভিভাবক অভিযোগ করেন, পড়ুয়াদের নমাজ পড়ার মতো ভঙ্গি শেখানো হচ্ছে। এরপরেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান বিষয়টি। গ্রামে পৌঁছান হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধিরাও।

কী অভিযোগ উঠেছে: তাঁদের অভিযোগ, সূর্য নমস্কারের নামে হিন্দু বাচ্চাদের নমাজ পড়া এবং ধর্মান্তরণে উৎসাহিত করছেন ওই শিক্ষক। এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায় তাঁরা। জানা গিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বুরহানপুর (Madhya Pradesh) জেলা প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : চোখ রাঙাচ্ছে ‘মন্থা’, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বদল একগুচ্ছ ট্রেনের টাইম টেবিল
সরব হিন্দু জাগরণ মঞ্চ: হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা সমন্বয়ক বলেন, যোগব্যায়ামের অজুহাতে শিশুদের নমাজের মতো ভঙ্গি করাচ্ছিলেন সরকারি শিক্ষক (Madhya Pradesh)। প্রধান শিক্ষকও বিষয়টি খেয়াল করেননি। তিনি নিজে কথা বলেছেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। এতে হিন্দুদের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন : পদে পদে চমক, উত্তম-সুচিত্রার ছবি দিয়ে উদ্বোধন, ৩১ তম KIFF এর অতিথি তালিকায় চাঁদের হাট
সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, সরকার অনুমোদিত যোগব্যায়ামের ক্লাস করাচ্ছিলেন তিনি। যে আসনটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, সেটি শশাঙ্কাসন, দেখতে খানিকটা নমাজের ভঙ্গির মতো। শিশুদের শুধুই যোগাসন শেখানো হচ্ছিল, নমাজ নয়। তাঁর কথা না শুনেই তাঁকে বরখাস্ত করা অন্যায় বলেও মন্তব্য করেন ওই শিক্ষক।













