বাংলা হান্ট ডেস্ক: কসবা ল কলেজ (Kasba Law College) কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার ছ’দিনের মাথায় কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য। কলেজ কর্তৃপক্ষেকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের থেকে পাঠানো হয়েছে সাত দফার নির্দেশিকা। পাশাপাশি, মূল অভিযুক্তকে বহিষ্কার করার কথা উল্লেখ রয়েছে। শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মেনে মূল অভিযুক্তকে বহিষ্কার করলো কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বড় নির্দেশ উচ্চ শিক্ষা দফতরের (Kasba Law College)
গত ২৬ শে জুন কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে তিনজনের বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) নেতা। প্রসঙ্গত, কসবা কাণ্ড স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে এনেছে আরজি করের ন্যক্কারজনক ঘটনার স্মৃতি। এমনকি, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হল।
সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে – এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত তথা অস্থায়ী কর্মী মনোজিৎ মিশ্রকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্ত পড়ুয়া জইব আহমেদ ও প্রমিত মজুমদার কে কলেজের থেকে বরখাস্ত করতে হবে। এছাড়া কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এছাড়াও বলা হয়েছে, কলেজের নিরাপত্তায় নিযুক্ত সংস্থাকে শোকজ করতে। পাশাপাশি, কলেজ ক্যাম্পাসের ফাঁকা জায়গায় সিসিটিভি ব্যবস্থা সহ একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।
এই ৭ দফার নির্দেশ সংক্ষেপে
১. মূল অভিযুক্ত অস্থায়ী কর্মী ‘এম’-কে বহিষ্কার করতে হবে।
২. প্রথম বর্ষের দুই অভিযুক্ত ছাত্র ‘জে’ ও ‘পি’কে বরখাস্ত করতে হবে।
৩. প্রাক্তন ছাত্র বা বহিরাগত কেউ কলেজ চত্বরে প্রবেশ করতে পারবে না।
৪. কলেজের ‘ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট কমিটি’ বা বিশাখা কমিটিকে বৈঠক ডাকতে হবে।
৫. নিরাপত্তা সংস্থাকে শো-কজ করতে হবে। তাদের গাফিলতির ব্যাখ্যা চাইতে হবে।
৬. সিসিটিভি পর্যাপ্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়াতে হবে।
৭. অফিস সময়ের পর কলেজ চত্বর ফাঁকা রাখতে হবে।
আরো পড়ুন:‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি’, কসবাকাণ্ডে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য, দলের চাপে পড়ে যা বললেন মদন…
প্রসঙ্গত, এই ঘটনা পর থেকেই কসবা ল কলেজ চত্বরে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র’র বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি, কসবা কাণ্ডের পর থেকে কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের আগমনের তথ্য সামনে এসেছে। আর এইসব তথ্য সামনে আসায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ও নিয়ম-কানুনে আরও কড়াকড়ি আনতে চাইছে।