বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সংসদের বাদল অধিবেশনে আগে থাকতেই একাধিক ইস্যুতে তোলপাড় হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তারউপর ২৪ ঘন্টা আগেই ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’ অর্থাৎ দেশের মন্ত্রী, নেতা, বিচারপতি-সহ প্রায় শ’তিনেক হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির ফোনে ‘আড়ি পাতা’ ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা দেশ।
এই বিষয়ে আঁচ করতে পেরে এদিন আগে থাকতেই সংসদে প্রবেশের আগে সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি বলেন, ‘সরকার আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। তবে সরকারকে সমস্ত উত্তর দেওয়ার জন্য, সংসদ কক্ষের শান্তি বজায় রাখতে হবে। আর এই পরিস্থিতিতে বাহুতে টিকা নিলে তবেই করোনার বিরুদ্ধে বাহুবলী হয়ে ওঠা সম্ভব’।
I have urged all Floor Leaders that if they can take out some time tomorrow evening then I would like to give them all detailed information regarding the pandemic. We want discussion inside the Parliament as well with the Floor Leaders outside the Parliament: PM Modi#COVID19 pic.twitter.com/rJ5tul3j9c
— ANI (@ANI) July 19, 2021
পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে সংসদের বাদল অধিবেশনে একটা ঝামেলা হওয়ার আঁচ আগে থাকতেই করা গিয়েছিল। আর ঠিক তাইই হল সোমবার সকালে। এদিন সাউথ অ্যাভিনিউ থেকে সংসদ ভবনের দিকে সাইকেলে যাত্রা শুরু করে তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের সাইকেলের সামনে লাগানো প্রতিবাদমূলক পোস্টার এবং সঙ্গে তাঁদের গায়ে ছিল প্রতিবাদের ভাষা লেখা জামাও। রাস্তাতেই সাংসদদের ব্যারিকেড করে আটকানো হয়।
এদিন দিল্লীতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, শান্তনু সেনদের পথ আটকাতে গেলে তারও বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদরা। এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ করেন, ‘পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্রতিবাদ করে আমরা সাইকেল নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে মোদী-অমিত শাহদের স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। কোনরকম কোন প্রতিবাদ সহ্য করেছে না কেন্দ্র’।