বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল যুব এর প্রতিষ্ঠা দিবসে ছাত্র যুবদের উদ্দ্যেশ্যে কি বক্তব্য রাখেন মমতা ব্যানার্জি (mamata banerjee), তা নিয়ে উৎসাহ ছিল সকলেরই। এই অনুষ্ঠান থেকেই কর্মসংস্থান বিষয়ে নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সাফ বক্তব্য, ছাত্ররা পড়াশোনা করুক তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। তিনি দাবি করেন, বেকারত্বের হার ৪২ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে।

নিজের সরকারের কর্মসংস্থানের খতিয়ান তুকে ধরে এদিন মমতা ব্যানার্জি বলেন, স্মল স্কেলে ১ কোটিরও বেশি মানুষকে চাকরি দিয়েছে তার সরকার। ৬৫টি ইন্ডিস্ট্রিয়াল পার্কে ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। রাজারহাটে তৈরি হচ্ছে সিলিকন হাব। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সেও প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। ৫ লক্ষ মানুষ সেখানে চাকরি পাবে বলে দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এছাড়া হাওড়াতেও ছোট শিল্পের হাব তৈরি হচ্ছে যেখানে হবে ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান। দীঘা জিও হাবেও কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি।
যদিও রাজ্যের চাকরি পরিস্থিতি মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। রাজ্যের বন সহায়কের শূন্যপদ ছিল মাত্র ২ হাজার। অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতায় এই চাকরির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২০ লক্ষ। তাদের মধ্যে বিরাট একটা অংশ এম.এ,এম.এস.সি, পিএইচডি এর মত উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক।
বন সহায়কের সাধারণ ভাবে চারাগাছ পোঁতা, হাতি তাড়ানো, বন পাহাড়া দেওয়ার মত কাজ করতে হয়। জেনেশুনেই এই কাজে আবেদন করেছে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে চোখ কপালে উঠেছে বন দপ্তরের আধিকারিক।
জানা যাচ্ছে, ৪ টি বড় ট্রাঙ্কে ভরা যায়নি সব আবেদন পত্র। শেষ পর্যন্ত অতি কষ্টে ৪৫ টি বিশাল বস্তায় ভরা হয়েছে এই সব আবেদন পত্র। এগুলি এবার স্ক্রুটিনি করে দেখা হবে। যদিও বয়সের কারন সহ অন্যান্য কারনে এই পর্বে আবেদন বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পরবর্তী পর্যায়ে হবে ইন্টারভিউ, জানা যাচ্ছে দিনপ্রতি ১০০ টি করে ইন্টারভিউ নিলেও সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে যে কত সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
সিভিক পুলিশের মত চুক্তি ভিত্তিক এই চাকরির আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৬ আগস্ট ২০২০, বনদপ্তরে এক বছরের চুক্তিতে হবে নিয়োগ। বেতন ১০ হাজার টাকা। পরবর্তী তে চুক্তির মেয়াদ বাড়লে বেতন বাড়বে।উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ মিলিয়ে মোট আটটি জেলার বন দপ্তরে নিয়োগ হবে। বনদপ্তরের শাখা অফিসে বন সহায়ক পদেও নিয়োগ হবে।