অনশন তুলে নিলেন DA আন্দোলনকারীরা, তবে থামছে না প্রতিবাদ! এবার লড়াই অন্য পথে

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ডিএ (Dearness Allowance) আন্দোলন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন আন্দোলনকারীরা। শহিদ মিনারের পাদদেশে দীর্ঘ দেড় মাস ধরে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারের কর্মীদের একাংশ। অনশনে বসেছিলেন তাঁরা। ৪৪ দিনের মাথায় সেই অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আন্দোলনকারীরা। অনশন তুললেও আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। 

কিছুদিন আগেই সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) এখনও সপ্তম বেতন কমিশনের নিয়ম কার্যকর হয়নি। ফলে এ রাজ্যে সেই হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়নি। তার উপর বহুদিন ধরেই রাজ্য সরকারের কর্মীদের ভাতা বাকি রয়েছে। অবশেষে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩ শতাংশ হারে কর্মীদের ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।

da protest west bengal

এদিকে বহুদিনের বকেয়া ডিএ না পেয়ে শহিদ মিনারের পাদদেশে আন্দোলনের বসে সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এরপর তাঁরা অনশন শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দেন, সরকার তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে। সেই মতো দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এই অনশন। টানা ৪৪ দিন ধরে চলার পর শনিবার দুপুরে অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আন্দোলনকারীদের তরফে।

অনশন তুললেও লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যৌথ মঞ্চ। এ বার এই আন্দোলন কোন পথে এগোবে তা ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসছে ৪২টি কর্মচারী সংগঠন। গতকাল কেন্দীয় সরকার তাদের কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে। তারপরেই যৌথ মঞ্চের তরফে ঠিক করা হয়, আন্দোলনের রূপরেখা নির্ধারণে রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির দফতর কর্মচারী ভবনে বৈঠক হবে। তাই আপাতত অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

যদিও এর আগে গত ১০ মার্চ ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তাতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছিল। ওইদিন রাজ্যের একাধিক সরকারি দফতর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, রাজ্য বাজেটের দিন সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বভাবতই যৌথমঞ্চ এতে সন্তুষ্ট হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপকে ‘ভিক্ষা’ আখ্যা দিয়েছিল তারা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে আর দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারি কর্মীরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। আজকের এই পদক্ষেপের পর আন্দোলন কোন পথে বাঁক নেয়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর