ইউরোপীয় দেশ গুলির সংস্কৃতির সাথে যেভাবে কুকুর জড়িত রয়েছে একইভাবে ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে গাই জুড়ে রয়েছে। ভগবান কৃষ্ণের আমলের কথা স্মরণ করলেও গাই, গরু ভারতের সংস্কৃতির অভিন্ন অঙ্গ হিসেবে দেখা যাবে। আমাদের ঋষি মহাঋষিরাও বাড়িতে গাই পালন করতেন। যদিও এখন মানুষ স্ট্যাটাস দেখাতে গিয়ে এবং ইউরোপীয় কালচারের কপি করতে গিয়ে গাই, গরু পালনকে পিছিয়ে পড়ার সংকেত বানিয়ে দিয়েছে। এখন বর্তমান সরকার গো পালনের পরম্পরাকে মজবুত করার জন্য জোর দেওয়ার সিধান্ত নিয়েছে। জাতীয় কামধেনু কমিশনের চেয়ারম্যান একটি বড় ঘোষণা দিয়ে বলেছেন যে দুগ্ধ থেকে শুরু করে গোবর এবং গো-মূত্র থেকে তৈরি করা প্রাথমিক বিনিয়োগ করার জন্য ৬০ শতাংশ সরকারি ফান্ডিং থেকে পাওয়া যেতে পারে। জানিয়ে দি, সমস্ত পশুর মধ্যে গাই একমাত্র প্রাণী যার মূত্র বিষাক্ত নয়। গো-মূত্র বর্তমানে ওষুধিক জগতে ব্যাপকভাবে কাজে লাগে।
জানিয়ে দি, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কামধেনু কমিশন প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে কাজ শুরু করেছে। এতে গোশালা চালানোর জন্য মালিকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচিও চালানো হবে। কামধেনু বোর্ডের চেয়ারম্যান বল্লভ কাঠেরিয়া গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমরা যুবসমাজকে গরুভিত্তিক শিল্পের জন্য উৎসাহিত করব এবং তাদের কাছ থেকে গরুর প্রধান পণ্যগুলি কেবল দুধ ও ঘি ছাড়া ঔষধ ও জন্য গো-মূত্র এবং কৃষিকাজের জন্য গোবরও প্রাপ্ত করানো হবে।
এর উদ্দেশ্য হ’ল এই জাতীয় ব্যবসাকে গতি দেওয়া। কাথেরিয়া বলেছিলেন, “গরুর প্রস্রাব ও গোবর শিল্পায়নের মাধ্যমে লোকেদের সেই সব গরুদের ত্যাগ না করার জন্য উৎসাহিত করা যারা দুধ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা গরু দ্বারা পণ্যগুলির ঔষধির মান সম্পর্কে গবেষণাকেও উৎসাহিত করব। বোর্ড এই জাতীয় উপ-পণ্যগুলির জন্য তাদের প্রকল্পগুলি প্রদর্শন করার জন্য পণ্ডিত এবং গবেষকদের একটি প্ল্যাটফর্মও দেবে।
তিনি আরও বললেন যে, ‘যারা ইতিমধ্যে গোশালা চালাচ্ছেন, আমরা তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং দক্ষতা উন্নয়ন শিবিরও আয়োজন করবো’।