আগামী বছরই ভারতে আসতে চান ট্রাম্প! বন্ধু মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট

Published on:

Published on:

Gradually India-America relation getting better.

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সাময়িক উত্তেজনা কেটে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ভারত-আমেরিকা (India-America) সম্পর্ক। বৃহস্পতিবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানালেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি। ট্রাম্পের কথায়, “মোদি আমার বন্ধু, ও অসাধারণ মানুষ। আমরা মাঝেমাঝেই কথা বলি।” সেই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন, আগামী বছরই ভারতে আসতে পারেন তিনি রাষ্ট্রীয় সফরে।

বরফ গলছে ভারত-আমেরিকা (India-America) সম্পর্কের:

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “মোদি রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে। উনি সত্যিই দারুণ মানুষ। ও চান আমি যেন ভারতে যাই। আমরা আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করব।” এক সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করেন, তাহলে কি ২০২৬ সালে ভারত সফরে যাচ্ছেন তিনি? জবাবে ট্রাম্পের মন্তব্য, “হ্যাঁ, হতেই পারে।” তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে ফের মজবুত হচ্ছে দুই দেশের (India-America) পারস্পরিক সম্পর্ক।

আরও পড়ুন:শীতের ছুটিতে পাহাড় ডাকছে! দেখে নিন ৫টি দারুণ উইন্টার ট্রেকের তালিকা

এর আগে দিন দশেক আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, “ভারতের সঙ্গে আমি শিগগিরই বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রয়েছে। আমাদের সম্পর্ক খুবই আন্তরিক। মোদির নেতৃত্বে ভারত দ্রুত এগিয়ে চলেছে।” হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটও সেই দাবি সমর্থন করে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত-আমেরিকা (India-America) বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। একই সঙ্গে নয়াদিল্লিও জানিয়ে দেয়, বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে তারা আগ্রহী, যদিও বহুদিন আলোচনা চললেও এখনও চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর হয়নি।

প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রুশ তেল কেনা বন্ধের আশ্বাস দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তবে সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল ভারত সরকার। ভারতের বক্তব্য ছিল, জাতীয় স্বার্থে যে কোনও জায়গা থেকে তেল কেনার অধিকার তাদের রয়েছে। কিন্তু রয়টার্সের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের (India-America) অন্যতম বৃহৎ রুশ তেল আমদানিকারক সংস্থা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ ইতিমধ্যেই অনেকখানি কমিয়ে দিয়েছে রুশ তেল কেনার পরিমাণ। এমনকি সরকার নিয়ন্ত্রিত তেল শোধনাগারগুলিও একই পথে হাঁটছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

Gradually India-America relation getting better.

আরও পড়ুন: বিয়ের চার বছর পর প্রথম সন্তান, ৪২-এ মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ

এই প্রেক্ষিতেই ট্রাম্পের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্লেষকদের মতে, রুশ তেল ইস্যুতে ভারতের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তিত হওয়ায় আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কও মসৃণ হচ্ছে। আগামী বছর যদি ট্রাম্প সত্যিই ভারত সফরে আসেন, তবে সেটি দুই দেশের (India-America) কূটনৈতিক সম্পর্কে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।