এবার বিজেপিতে নাম লেখালেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রাজ্যপালের প্রপৌত্র, বড় ঝটকা কংগ্রেসে

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কংগ্রেস ভাঙিয়ে লাগাতার দল ভারী করে চলেছে বিজেপি (BJP)। গত তিন দিনে দক্ষিণে কংগ্রেসের (Indian National Congress) তিন নেতাকে নিজেদের দলে নিয়েছে তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই ‘মিশন দক্ষিণাত্য’। এর আগে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্দির তথা কংগ্রেসের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা এ.কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি যোগ দেন  বিজেপিতে। তারপর দলে যোগ দেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। 

এরপর কংগ্রেসে আবার ভাঙনের খবর এল। জানা গিয়েছে, এ বার বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন সি রাজাগোপালচারীর প্রপৌত্র সিআর কেশবন। জানিয়ে রাখি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রাজ্যপাল ছিলেন সি রাজাগোপালচারী। আজ তাঁরই প্রপৌত্র যোগ দিলেন বিজেপিতে শুধু বাংলার প্রথম রাজ্যপালই নয়, স্বাধীনতার আগে দেশের শেষ গভর্নর জেনারেলও ছিলেন তিনি। এছাড়াও ভারতের দ্বিতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সি রাজাগোপালচারী (C Rajagopalachari)। 

cr kesavan joining bjp

পরবর্তী সময়ে তিনি তামিলনাড়ুর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। এমন কট্টর কংগ্রেসী নেতার কোনও বংশধর বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দক্ষিণে জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস। সি রাজাগোপালচারীর প্রপৌত্র কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ২০০১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গেকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করার কথা বলেন কেশবন। পদত্যাগ করার আগে তামিলনাড়ু কংগ্রেস কমিটির দাতব্য ট্রাস্ট্রের অন্যতম ট্রাস্টিও ছিলেন তিনি। 

হঠাৎ কংগ্রেস ছেড়ে কেন বিজেপিতে যোগ দিলেন কেশবন? এ বিষয়ে খড়গেকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, ‘ আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই যে বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই কংগ্রেসের মধ্যে মূল্যবোধের অভাব লক্ষ্য করেছি। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করেছি। কিন্তু বর্তমানে আমি দলটির সঙ্গে সহমত হতে পারি না।’ আজ চেন্নাইতে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিনই কংগ্রেসের একজন হেভিওয়েট নেতার বিজেপিতে যোগ দেওয়া তাদের কাছে একটি বড় ধাক্কা।

গত পরশু কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন একে অ্যান্টনির ছেলে। গতকাল দল ছাড়েন কংগ্রেস নেতা কিরণ মুমার রেড্ডি। উল্লেখ্য, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই কংগ্রেসে এই ভাঙন নিঃসন্দেহে দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। রাজনৈতিক মহলের অন্দরে জল্পনা, কিরণকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে পারে গেরুয়া শিবির। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচত ছিলেন কিরণ। ২০০৯ সালে বিধানসভার স্পিকার হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। 

Avatar
Subhraroop

সম্পর্কিত খবর